ফরিদগঞ্জে দুর্বার গতিতে রোমানের প্রচারণা
ফরিদগঞ্জ যে নৌকার ঘাঁটি তা এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমানের বিজয় নিশ্চিত করে ঘরে ফেরার মাধ্যমে আবারো প্রমাণ দিতে দলের নেতা-কর্মীরা অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। বিগত সময়ে বর্তমান এমপি মুহম্মদ শফিকুর রহমান ও সাবেক এমপি ড. শামছুল হক ভূঁইয়া বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তব্যে বলে আসছেন, ফরিদগঞ্জ হলো নৌকার ঘাঁটি। গোপালগঞ্জে নৌকা জিতলে ফরিদগঞ্জেও নৌকা জিতবে। এমন বক্তব্যের প্রমাণ মিললো সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুহম্মদ শফিকুর রহমান এমপি নির্বাচিত হলেন। সেই হিসেবে নৌকার ঘাঁটি এই ফরিদগঞ্জে অপ্রতিরোধ্য রোমান নৌকার জয় নিশ্চিত করতে দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে সাথে নিয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছেন।
চেয়ারম্যান পদে তিন প্রার্থী থাকলেও কার্যত নৌকার প্রার্থী রোমান সক্রিয়ভাবেই নৌকার ভোট চেয়ে মাঠ দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। বাকি দুই প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তোফায়েল আহাম্মেদ ভূঁইয়া-স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) ও এনপিপি দলের মনোনীত প্রার্থী আবদুল গণি (আম)। এদিকে দলের মনোনয়ন না পাওয়ায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও নৌকার প্রার্থী রোমানকে সমর্থন জানিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সাহেদ সরকার ও উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী সফিক।
তথ্য বলছে, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকার এবং পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়ে পেীর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হক নির্বাচিত হয়েছেন। এরপর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকা প্রতীকের জয় পেয়েছেন। ১৫টি ইউপি নির্বাচনে ইতিপূর্বে নৌকার মনোনীত ১৩ জন প্রার্থী জয়লাভ করেছিলেন।
এবার উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করলেও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি পুত্র রোমান তার দলীয় নেতা-কর্মীকে সাথে নিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
দলের নেতা-কর্মীরা বলছেন, নৌকার ঘাঁটি হিসেবে এই ফরিদগঞ্জে নৌকা প্রতীকের জয় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তারা বলছেন, নৌকা প্রতীকটি হলো জননেত্রী শেখ হাসিনার, নৌকা হলো স্বাধীনতার প্রতীক। তাই বিগত নির্বাচনের মতই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে রোমানকে বিপুল ভোটে জয়ী করে আবারো ফরিদগঞ্জকে নৌকার ঘাঁটি হিসেবে প্রমাণ দিতে নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
শুক্রবার থেকে নব উদ্যমে দুর্বার গতিতে চলছে রোমানের গণসংযোগ। এরই অংশ হিসেবে দেখা গেলো আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শত শত মোটরসাইকেলের শোভাযাত্রার মাধ্যমে তাদের প্রিয় নেতা ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমানকে চাঁদপুর জেলা শহর থেকে নিয়ে আসেন। এ সময় একটি কালো গাড়িতে থাকা রোমান সবাইকে হাত নেড়ে অভিবাদন জানাতে দেখা যায়।
নৌকার প্রার্থী রোমানের দীর্ঘদিনের সাথী পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বলেন, যে দলের নেতা-কর্মীরা তাদের জনপ্রিয় নেতা নিরহঙ্কারী রোমান ভাইকে বাঁচাতে বুক পেতে গুলিবিদ্ধ হতেও দ্বিধা করে না, সেই নেতা অপ্রতিরোধ্য রোমান ভাইয়ের জয় নিশ্চিত করেই ঘরে ফিরবে-এটাই আমাদের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, নৌকা প্রতীক হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের, নৌকা প্রতীক হলো জননেত্রী শেখ হাসিনার, নৌকা প্রতীক হলো স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক। তাই নৌকার বিরুদ্ধে যে বা যারা যত অপকৌশল করুক না, কোনো অপকৌশলই নৌকার বিজয় ঠেকাতে পারবে না বলে আমার দৃঢ় বিশ^াস রয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে রোমান আরো বলেন, নৌকার ঘাঁটি এই ফরিদগঞ্জে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রেই এবার বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকার জয় নিশ্চিত করেই দলের প্রতিটি নেতা-কর্মী নিজেদের আন্তরিকতা ও সক্রিয়তা প্রমাণ দেয়ার জন্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।