• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুরের ৫ আসনে জামানত হারালেন ২৯ প্রার্থী

প্রকাশ:  ০৫ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:৪৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুরের ৫টি আসনে ভোটের লড়াইয়ে থাকা ৩৫ জন প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ৬ জন ছাড়া বাকি ২৯ প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন। নির্বাচনে কাস্টিং হওয়া মোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগ না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া এই ২৯ জন প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন চাঁদপুর-১ আসনে ৬ জন, চাঁদপুর-২ আসনে ৫ জন, চাঁদপুর-৩ আসনে ৬ জন, চাঁদপুর-৪ আসনে ৭ জন, চাঁদপুর-৫ আসনে ৫ জন। আর আওয়ামী লীগের বিজয়ী ৫জন এমপি ছাড়া পরাজিত প্রার্থীদের মধ্যে জামানত ফিরে পেয়েছেন চাঁদপুর-৪ আসনের বিএনপি প্রার্থী লায়ন হারুনুর রশিদ।
    চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, আইন অনুযায়ী নির্বাচনে কাস্টিং হওয়া মোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগ না পাওয়া প্রার্থীদের জামানত স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়।
    প্রাপ্ত তথ্য মতে, চাঁদপুর -১(কচুয়া) আসনে প্রাপ্ত ভোটের হিসেবে জামানত বাজেয়াপ্ত না হওয়ার জন্যে পেতে হতো ২৬ হাজার ৯৪৩ ভোট। কিন্তু বিজয়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ছাড়া সেই সংখ্যক ভোট পাননি অন্য কোনো প্রার্থীই। ফলে এ আসনে জামানত হারিয়েছেন বিএনপি প্রার্থী মোশারফ হোসেন, জাতীয় পার্টির এমদাদুল হক রুমন, স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক ডাঃ একেএমএস শহীদুল ইসলাম, গণফোরামের মোহাম্মদ আজাদ হোসেন, ইসলামী ফ্রন্টের নূরুল আলম মজুমদার ও ইসলামী আন্দোলনের যোবায়ের আহমেদ।
    চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) আসনে প্রাপ্ত ভোটের হিসেবে জামানত বাজেয়াপ্ত না হওয়ার জন্যে পেতে হতো ৩৯ হাজার ৮৩৫ ভোট। কিন্তু বিজয়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থী নূরুল আমিন রুহুল ছাড়া সেই সংখ্যক ভোট পাননি কোনো প্রার্থীই। ফলে এ আসনে জামানত হারিয়েছেন বিএনপি প্রার্থী ড. জালাল উদ্দিন, জাতীয় পার্টির এমরান হোসেন মিয়া, ইসলামী আন্দোলনের আফসার উদ্দিন, ইসলামী ঐক্যজোটের মোঃ মনির হোসেন চৌধুরী ও মুসলিম লীগের নূরুল আমিন লিটন।
    চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসনে প্রাপ্ত ভোটের হিসেবে জামানত বাজেয়াপ্ত না হওয়ার জন্যে পেতে হতো ৪৪ হাজার ৬৯৬ ভোট। কিন্তু বিজয়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডাঃ দীপু মনি ছাড়া সেই সংখ্যক ভোট পাননি কোনো প্রার্থীই। ফলে এ আসনে জামানত হারিয়েছেন বিএনপি প্রার্থী শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, ইসলামী আন্দোলনের মোঃ জয়নাল আবদিন শেখ, জাকের পার্টির দেওয়ান কামরুন্নেছা, বাসদের শাহজাহান তালুকদার, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মোঃ আজিজুর রহমান ও তরিকত ফেডারেশনের মোঃ মিজানুর রহমান।
    চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে প্রাপ্ত ভোটের হিসেবে জামানত বাজেয়াপ্ত না হওয়ার জন্যে পেতে হতো ২৬ হাজার ৯৯১ ভোট। কিন্তু এখানে বিজয়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুহম্মদ শফিকুর রহমান ও বিএনপি প্রার্থী লায়ন হারুনুর রশিদ ছাড়া সেই সংখ্যক ভোট পাননি আর অন্য কোনো প্রার্থীই। ফলে এ আসনে জামানত হারিয়েছেন জাতীয় পার্টির মাঈনুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের মকবুল হোসেন, ইসলামী ফ্রন্টের গোলাম মাহমুদ ভূঁইয়া মানিক, জাকের পার্টির বাচ্চু মিয়া ভাসানী, বাসদের অ্যাডঃ আনিসুজ্জামান ভূঁইয়া, ন্যাশনাল পিপল্স পার্টির দেলওয়ার হোসেন পাটওয়ারী ও মুসলিম লীগের মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া।
    চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহারাস্তি) আসনে প্রাপ্ত ভোটের হিসেবে জামানত বাজেয়াপ্ত না হওয়ার জন্যে পেতে হতো ৪৩ হাজার ৮৮৯ ভোট। কিন্তু এখানে বিজয়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থী মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম ছাড়া প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট পাননি কোনো প্রার্থীই। ফলে এ আসনে জামানত হারিয়েছেন বিএনপি প্রার্থী ইঞ্জিঃ মমিনুল হক, ইসলামিক ফ্রন্টের সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী, ইসলামী ফ্রন্টের আবু ছুফিয়ান আল কাদেরী, ইসলামী আন্দোলনের শাহাদাত হোসেন ও জাকের পার্টির ওবায়েদ মোল্লা।
    সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ শাহিদুল ইসলাম ও মতলব উত্তরের ইউএনও শারমিন আক্তার জানান, মোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগও না পাওয়ায় এ আসনে বিএনপি, ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামী আন্দোলন ও মুসলিম লীগের প্রার্থীরা জামানতের টাকা ফিরে পাবেন না। তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

 

সর্বাধিক পঠিত