শাহরাস্তির দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানে মেজর রফিক
শান্তিপ্রিয় উপজেলা হিসেবে খ্যাত শাহরাস্তি উপজেলা। শুধু চাঁদপুর জেলাই নয়, দেশব্যাপী এ উপজেলার রয়েছে শান্তিপ্রিয় উপজেলা হিসেবে পরিচিত। হিংসা, হানাহানি ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামুক্ত এ উপজেলা। আর যে অঞ্চলের সংসদ সদস্য তথা অভিভাবক হচ্ছেন মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমান্ডার, সে উপজেলায় কি প্রতিহিংসা শোভাপায়? ১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য হিসেবে শাহরাস্তি-হাজিগঞ্জ আসন থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম একে একে বিভিন্ন পর্যায়ে উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছেন। রাস্তঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, বিদ্যুৎ, শিক্ষা ব্যবস্থাসহ সর্বস্তরে তাঁর হাতের ছোঁয়া লেগেই আছে। এতো সব সফলতার মাঝে শুধুমাত্র এ উপজেলার প্রধান সড়কটির বেহাল দশার কারণে তাঁর সকল উন্নয়ন যেনো ম্লান হতে যাচ্ছিলো। এ একটি জায়গায় সুযোগ সন্ধানীরা যে কোনো সময় অপবাদের তীর ছোড়েন। শুধু তাই নয়, এ অপবাদ যাতে চলমান থাকে এ অসৎ উদ্দেশ্যে রাস্তার কাজটি যাতে না হয় সেজন্যও তারা তদবির অব্যাহত রাখে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম ১৯৯৬ সালের পর এ উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৩শ’ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করেছেন। যা অল্প কিছুদিনের মধ্যে প্রায় ৪শ’ কিলোমিটারে দাঁড়াবে। শাহরাস্তির প্রধান দুটি সড়কের আয়তন প্রায় ৩২ কিলোমিটার। এ ৩২ কিলোমিটার সড়ক দিয়ে উপজেলার প্রায় ৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভাসহ লক্ষ্মীপুর, চাটখিল, রামগঞ্জ, মনোহরগঞ্জ উপজেলার জনগণও যাতায়াত করে থাকে। চিনের দুঃখ ছিল যেমন হুয়াংহু নদী তেমনি শাহরাস্তিবাসীর দুঃখ ছিল এ প্রধান সড়ক।
সরকারি পর্যায় থেকে এ সড়কটির মেরামতের কথা বারবার বলা হলেও বাস্তবে তা দেখা না দেয়ায় জনমনে অসন্তোষ চলে আসছিলো। অবশেষে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় একনেকে পাস হয় এ সড়কের উন্নয়ন কাজের বরাদ্দ। ইতিমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে রাস্তার সংস্কার কাজ দৃশ্যমান হওয়ার অপেক্ষায়। শাহরাস্তি উপজেলার ইতিহাসে কোনো প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয়েছে বলে কারো জানা নেই। প্রায় ১শ’ ৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনভাগে বিভক্ত শাহরাস্তি উপজেলার প্রধান সড়ক নতুনভাবে নির্মাণ করা হবে। শাহরাস্তি গেইট দোয়াভাঙ্গা হতে মেহার কালীবাড়ি হয়ে শোরসাক, রাগৈ, লোটরা ও রামগঞ্জ উপজেলার পানিওয়ালা বাজারে গিয়ে শেষ হবে এ সড়ক। আরেকটি সড়ক হলো মেহার কালীবাড়ি হয়ে উপজেলা সদরের সামনে দিয়ে সূচীপাড়া, আয়নাতলী ও মোল্লারদর্জা পর্যন্ত। অপরটি চাটখিল, চিতোষী, উঘারিয়া হয়ে নরিংপুর পর্যন্ত। জানা যায়, আগামী ১০/১২ দিনের মধ্যে উক্ত রাস্তার কাজ শুরু দৃশ্যমান হবে। দেরিতে হলেও এ রাস্তার কাজ হতে যাচ্ছে জেনে উপজেলাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করতে গিয়ে মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম বলেন, আমি আপনাদের কষ্ট বুঝতে পারি। আপনাদের কষ্ট লাঘবের জন্যে আমি তিনবছর যাবৎ চেষ্টা করে আসছি। যাতে আপনারা স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারেন। ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রাণবন্ত মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলামকে দেখে এটি বুঝতে বাকি থাকে না যে এ সড়কটি করতে তাঁর আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি ছিল না। তাইতো জনগণকে আপন করে নিয়ে তিনি বলতে থাকেন, আমি আপনাদের লোক, আপনাদের সাথে আমার রক্তের সম্পর্ক। শাহরাস্তিবাসীর পক্ষ থেকে রাস্তার কাজের সফল সমাপ্তি কামনা করছি। এভাবেই যাতে আপনাদের অভিভাবক আপনাদের মাঝে থেকে সকল সুখে-দুঃখে অবদান রাখতে পারে এ প্রত্যাশা করছি।