• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

আমরা হাসিমপুরের হাসুর মতো কচুয়া চাই না, আমরা চাই না মানুষ আমাদের নিয়ে হাসাহাসি করুক : সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি

প্রকাশ:  ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি বলেছেন, ২১ আগস্ট সৃষ্টি করে যারা দেশের গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে চেয়েছিলো, সরকার তাদেরকে শক্ত হাতে প্রতিহত করেছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট যারা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছে তাদেরকে সরকার আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রে বিশ^াসী। যারা মানুষকে হত্যা করে তারা গণতন্ত্রকে বিশ^াস করে না। শেখ হাসিনার সরকার জনগণের বিশ^াস নিয়ে তাদের কল্যাণে কাজ করতে চায়। আমরা কচুয়াবাসী শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে শেখ হাসিনার বাংলাদেশ গড়বো। শিক্ষা আমাদের জাতীয় উন্নয়নের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়নে জ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার বিকল্প নেই। আমার আস্থা ও বিশ^াস শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়নের প্রতিফলন হয়ে থাকবে। আর শেখ হাসিনার সরকার তা বাস্তাবায়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছে। তিনি গতকাল শনিবার দুপুরে কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪তলা বিশিষ্ট নতুন একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
    বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আলহাজ¦ মোঃ তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কচুয়া উপজেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওমর খৈয়াম বাগদাদী (রুমি)র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি কচুয়ায় যে ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে তা ছিল আমার বাড়ির পাশে। যারা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চয়েছিল, তারাই আমাকে এই ককটেল দিয়ে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছে।
    তিনি চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসন থেকে আওয়ামী লীগের এক মনোনয়ন প্রত্যাশীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যিনি মুক্তিযোদ্ধার সম্পদ দখল করে নিজের আখের গোছাতে চেয়েছেন তিনি নাকি আবার কচুয়ার উন্নয়ন করবেন। যদি তিনি বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পত্তি থেকে তাদের উচ্ছেদের কোনো অপচেষ্টা চালান তাহলে তার বিরুদ্ধে সমাজগতভাবে এবং সরকারের তরফ থেকে আইনানুগভাবে শাস্তি নিশ্চিত করবো। তিনি সম্প্রতি চাঁদপুর থেকে প্রকাশিত কোনো এক পত্রিকায় একান্ত সাক্ষাতকারে বলেছেন ‘আলোকিত হাসিমপুরের মতো কচুয়া উপজেলাকে গড়তে চাই।’ আমি বলবো, কচুয়া উপজেলা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ৪শ’ ৮৬টি উপজেলার মধ্যে ৫ম অবস্থানে পৌঁছে গেছে। আমরা হাসিমপুরের হাসুর মতো কচুয়া চাই না। আমরা চাই না মানুষ আমাদেরকে নিয়ে হাসাহাসি করুক। জননেত্রী শেখ হাসিনার কচুয়া উপজেলাকে এক নম্বরে নিয়ে যাওয়ার জন্যে যে উন্নয়ন আমাদের দরকার, তার সর্বোচ্চ সহযোগিতা তিনি করে যাচ্ছেন। আমরা শ^শুরের পাগল এ ধরনের নেতা কচুয়ায় চাই না। আমরা সেই নেতাকে কচুয়ায় চাই, যার পূর্বপুরুষ কচুয়ায় উন্নয়ন করে গেছেন। আমরা তাদের স্মৃতি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। এছাড়া তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে কচুয়া থেকে বিপুল ভোটে নৌকাকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান।
    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান শিশির, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডঃ হেলাল উদ্দীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগ, পৌর মেয়র নাজমুল আলম স্বপন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালমা শহীদ ও উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি দেওয়ান ওয়াহিদুর রহমান। বক্তব্য রাখেন কড়ইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডঃ নূরু, ইউপি চেয়ারম্যান আহসান হাবীব জুয়েল, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীন ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, অভিভাবক সদস্য সাংবাদিক আফাজ উদ্দিন মানিক। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অজিত কুমার কর। এছাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাচ্ছেল হোসেন খান, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল বাতেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তারেক শাসম মিঠু, বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।