বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নই জুয়েল সরকারের মিশন-ভিশন
জাহিদুল ইসলাম জুয়েল সরকার ত্রিশাল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি। জুয়েল সরকার ত্রিশালের আগামী প্রজন্মের রাজনৈতিক আইকন হিসেবে জনপ্রিয় একটি নাম হিসাবে ইতিমধ্যে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে লালিত ত্রিশালের স্বনামধন্য এক রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেয়া জুয়েল জয়বাংলা শ্লোগানকে বুকে ধারণ করে রাজনীতি করে যাচ্ছেন। দক্ষিণ ময়মনসিংহের বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ত্রিশালের রাজনৈতিক কিংবদন্তী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল মতিন সরকারের ঘরে জন্মগ্রহন করেন। আব্দুল মতিন সরকার ১৯৬৯ সালে ছাত্রলীগের সভাপতি থেকে শুরু যুবলীগ সভাপতি, আওয়ামীলীগ সভাপতি, উপজেলা চেয়ারম্যান, সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে যার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গড়েছেন।
তার সন্তান হিসেবে সেই ছোট কাল থেকেই ‘নৌকা’ শ্লোগানকে আপন করে পথ চলা শুরু জুয়েল সরকারের। বাল্যজীবন, ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে যৌবনে পদাপর্নের সময় যার অর্জন আর সুখ্যাতি। আর এ অর্জন বর্তমানে বিস্তৃত হয়েছে ত্রিশালের প্রত্যেন্ত অঞ্চলে। নজরুল স্মৃতি বিজড়িত নজরুল একাডেমী দরিরামপুরে দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ত্রিশাল উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্যপদ থেকে আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক পথচলা শুরু। এরপর তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ত্রিশাল উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য থাকা অবস্থায় বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে নানা অত্যাচার সহ্য করে কিশোর বয়সে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে রাজপথে শ্লোগানের নেতৃত্ব দিয়েছেন। নৌকার কর্মী হওয়ার কারনেই পুলিশের হামলায় রাতকে রাত থাকতে হয়েছে নিজ বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র। তার পরও থেমে থাকেনি তার পথচলা।
পরবর্তীতে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে গেছেন, সুসংগঠিত করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগকে। পরবর্তীতে বর্তমান যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী যুবলীগের দায়িত্ব গ্রহন করার পর ১৮ই জানুয়ারী ২০১৫ ত্রিশাল উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক হিসেবে জুয়েল সরকারকে দায়িত্ব প্রদান করেন। ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ঝিমিয়ে পড়া, কোন্দলে জর্জরিত উপজেলা যুবলীগকে সুসংগঠিত করতে ছুটে যান উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। মাত্র চার মাসে প্রতিটি ওয়ার্ডে সন্মেলনের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের সতস্ফুর্ত অংশগ্রহনে তৈরী করেন নতুন নেতৃত্ব। যাদের দলীয় কর্মকান্ডে আজ ত্রিশাল উপজেলা যুবলীগ এখন প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি শক্তিশালী সংগঠন। ২০১৫ সালের ৩০ মে স্বাধীনতা পরবর্তী সকল সমাবেশের রেকর্ড ভঙ্গ করে ঐতিহাসিক নজরুল একাডেমীর মাঠে প্রায় অর্ধলক্ষ যুবসমাজের উপস্থিতিতে একটি সন্মেলনের মাধ্যমে ত্রিশাল উপজেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সাংগঠনিক কার্যক্রম, কেন্দ্রীয় কর্মসূচী পালন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিধারায় বিভক্ত অভিভাবকহীন ত্রিশালে যখন দলীয় কার্যক্রম বাস্তবায়নের মত নেতা পাওয়া দুস্কর সেই সময় জুয়েল সরকার দলের প্রতিটি কর্মসূচী বাস্তবায়ন ও জামায়াত বিএনপির নৈরাজ্য ঠেকাতে সর্বদা তৎপর।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা পর্যায়ে মাসব্যাপী কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে যুব সমাজের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে তুলে ধরেছেন ব্যতিক্রমভাবে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্বজীবনী প্রকাশিত হওয়ার পরপরই প্রতিটি ওয়ার্ডের নেতাকর্মীর হাতে এই বই তুলে দেয়ার মত গঠনমুলক কাজই যার নেতৃতের ব্যতিক্রম বৈশিষ্ট। তার দলীয় কার্যক্রমে সন্তুষ্ট হয়ে দলের সভানেত্রী তাকে ২০১৫ সালে তাকে ত্রিশাল পৌরসভার নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। স্থানীয় স্বার্থন্বেষী দলীয় নেতা ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিএনপি জামায়াতের সাথে আঁতাতের কারনে অল্প সংখ্যক ভোটে পরাজিত হন। তার নিরলস পরিশ্রম আর সাংগঠনিক কার্যক্রমের ফলে ত্রিশালে পিছিয়ে পড়া যুবলীগকে জাগ্রত করে আজ ত্রিশালে শক্তিশালী যুবলীগে পরিণত হয়েছে। তার নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে ত্রিশাল উপজেলা যুবলীগ উপজেলার এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত ছুটে সংগবদ্ধ করে রাজপথে শক্তিশালী ও সাহসী ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন।
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দলের প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষে উঠান বৈঠক,সাংগনিক কার্যক্রম, সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরা সহ দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে অগ্রনী ভুমিকা পালন করছেন। যুবলীগের প্রতি ওয়ার্ডের কমিটির এখন অন্যান্য সংগঠনের চেয়ে শক্তিশালী। যার নিয়মিত সক্রীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচী পালনে সফলতা দেখিয়েছেন। এত কিছুর স্থলে একজনই তিনি জুয়েল সরকার।
ত্রিশালের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় কোন্দলে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন, ত্রিশালের উন্নয়নে স্থবিরতা, দলীয় নেতাকর্মীদের বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারনে নতুন নেতৃত্বের প্রত্যাশা তৃনমুলের নেতাকর্মীদের। তারুন্যের উদ্দীপনা নিয়ে দলীয় কার্যক্রমে সক্রিয় নতুন মুখ জুয়েলকে মনোনয়ন প্রদান করলেই আওয়ামী লীগের ঘাটি হিসেবে পরিচিত ত্রিশাল আসনকে নৌকা প্রতীকে উপহার দেয়া সম্ভব।