বঙ্গমাতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার, যুদ্ধজয়ের গল্প ও একজন সেজুতি মনসুর
বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিং-এ বিশ্বের টপ ১০০টির অন্যতম একটি বিশ্ববিদ্যালয় হতে আইন বিষয়ে সদ্য ডিগ্রিধারী বিলেতে বেড়ে উঠা এক সম্ভাবনাময় তরুনীর নাম সেজুতি মনসুর। গনতন্ত্রের সুতিকাগার হিসাবে পরিচিত বৃটিশ পার্লামেন্টে জাতির জনকের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার হয়েছিল চলতি বছরের শুরুতে ১৩ মার্চ। সেখানে সে প্রথম বক্তব্য উপস্থাপন করেছিল এবং তথ্যবহুল ও প্রানবন্ত ঐ সেমিনারে পিনপতন নিরবতা নিয়ে সবাই শুনছিলেন তার বক্তব্যের প্রতিটি শব্দ।
বঙ্গবন্ধ লেখক-সাংবাদিক ফোরাম, ইউকে কর্তৃক আয়োজিত এই সেমিনারে সেদিন উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা: দীপু মনি, বঙ্গবন্ধুর নাতনী টিউলিপ সিদ্দিক সহ বৃটিশ পার্লামেন্ট ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের একাধিক মাননীয় এমপি। অন্যদিকে, গত ২৪ সেপ্টেম্বরে লন্ডনের বাংলা টাউনের ব্রাডি আর্ট সেন্টারে অনুষ্ঠিত হলো "যুদ্ধজয়ের গল্প" (শিশু কিশোরদের জন্য আর্ট ও রচনা প্রতিযোগিতা এবং সবার জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান) নিয়ে একটি সম্পুর্ণ ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠান আর বিষয় ছিলো "জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত ও সম্ভবনাময় বাংলাদেশ"। আবারো দেখলাম সেজুতি মনসুর অসাধারণ একটি তথ্যবহুল বক্তৃব্য প্রদান করলো।
প্রবাসে যারা রাজনীতি করেন তারা কি কখনো ভাবেন প্রবাসে বেড়ে উঠা আমাদের আগামী প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া কথা? এখনো সেটা দৃশ্যমান নয় তবে দেরিতে হলেও সেই কাজটি শুরু করেছেন বঙ্গবন্ধু লেখক-সাংবাদিক ফোরাম, ইউকে যার প্রতিষ্ঠাতা বিলাতের বরেণ্য লেখক ও সাংবাদিক সুজাত মনসুর ভাই।
যুদ্ধজয়ের গল্প অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখলাম ইতোমধ্যে আরো অনেক সেজুতি মনসুর সৃষ্টি হয়ে গেছে, যার জলন্ত প্রমাণ, অনুষ্ঠানটিতে অনেক শিশু কিশোরদের অংশগ্রহন যাদের বয়স ১৫ বছরের কম এবং সবার জন্ম ও বেড়ে উঠা এই প্রবাসে আর সবচেয়ে চমৎকার বিষয় হলো এই শিশু কিশোরা কেউ বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে নিয়ে ছবি আঁকছে আবার কেউ রচনা লিখছে ও প্রাণবন্ত বক্তব্য রাখছে। প্রবাসে আওয়ামী লীগ বা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অনেক সংগঠন কিংবা ব্যক্তি আছেন, কিন্তু তারা কি কখনো চিন্তা করেন আমাদের পরবতী প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে? বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সম্ভাবনাকে তাদের কাছে তুলে ধরতে?
সুতরাং অনেক দেরি হয়ে গেছে, আর নয়। আমাদের আগামীর প্রয়োজনে, সেজুতি মনসুরের মত প্রবাসে বেড়ে উঠা আমাদের আগামী প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে বা দেয়া উচিত। ফলে তাদের পরিচয় হবে শিখড়ের সাথে, তারা জানতে পারবে আমাদের গর্বিত ইতিহাস-ঐতিহ্য। গড়ে উঠবে একটি আমাদের একটি গর্বিত প্রজন্ম।
ছায়াদুল খালেদ: একাউন্টেন্ট ও সৌখিন লেখক। অর্থ বিষয়ক সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু লেখক-সাংবাদিক ।