মাই ই-কিডস এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের টেকনোপ্রেনিউর অলিম্পিয়াড
মাই ই-কিডস এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের উদ্যোগে ‘কৌতূহলী উদ্ভাবনী জাগরণ’ প্রতিপাদ্যে ‘টেকনোপ্রেনিউর অলিম্পিয়াড-২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের কনকোর্স হলে তরুণদের আধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞান উন্নত করা, তাদের মাঝে উদ্যোক্তাবৃত্তির প্রতি উৎসাহ ও উদ্দীপনা তৈরি করা এবং ইংলিশ মিডিয়াম ও ইংলিশ ভার্সন স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে এ অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়। এর লক্ষ্য কিডস পাজল, স্টিম প্রজেক্ট, কোডিং চ্যালেঞ্জ এবং জুনিপ্রেনিউরদের ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতাসহ আকর্ষণীয় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিভিন্ন বয়সের অংশগ্রহণকারীদের উদ্ভাবনী শক্তিকে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করা। এ প্রতিযোগিতা সবার জন্যে উন্মুক্ত ছিলো।
ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ-এর পরিচালক (বিজনেস ডেভেলাপমেন্ট) মিস সারওয়াত রেজা ও ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ হাসান মাহামুদের সভাপ্রধানে অনুুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ মহসীনা শারমিন নিশাত (বাংলা ভার্সন) ও ওয়াহিদা ইসলাম ঝুমুর (ইংলিশ ভার্সন)।
সকালে ‘টেকনোপ্রেনিউর অলিম্পিয়াড-২০২৪’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটিজ অব এশিয়া এন্ড প্যাসিফিকের (এইউএপি) সভাপতি ও ড্যাফোডিল পরিবারের চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান। ইংলিশ মিডিয়াম এবং ইংরেজি সংস্করণ উভয় প্রকারের প্রতিষ্ঠানসহ ৫০টি স্কুলের ১০০০-এরও বেশি অংশগ্রহণকারী সারাদিন তাদের দক্ষতা এবং উদ্ভাবন সাগ্রহে প্রদর্শন করে। প্রোগ্রামটিতে ধাঁধা-সমাধান, ঝঞঊগ প্রকল্প, কোডিং প্রতিযোগিতা এবং জুনিপ্রেনিউরদের প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
অলিম্পিয়াডে মর্যাদাপূর্ণ ‘সুপার টেকনো কিডস’ টাইটেল অতিরিক্ত মাত্রা যোগ করেছে। ‘সুপার টেকনো কিডস’ বিজয়ী হয়ে ল্যাপটপ জিতে নেয় গ্রুপ ‘এ’তে ড্যাফোডিল ইন্টারনাশনাল স্কুলের (গ্রেড-কেজি) শিক্ষার্থী রুফাইদা খান আজরা, গ্রুপ ‘বি’তে নাইস স্কুল এন্ড কলেজের (গ্রেড-২) শিক্ষার্থী জাহিয়ান রাইফ ইসলাম এবং গ্রুপ ‘সি’তে ড্যাফোডিল ইন্টারনাশনাল স্কুলের (গ্রেড-৯) শিক্ষার্থী মারিয়া রহমান মাইসা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফেরদৌস আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির যে রূপকল্প করেছেন সে রূপকল্পকে বাস্তবে রূপদানের জন্যে মাই ই-কিডস ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল কর্তৃক আয়োজিত এই টেকনোপ্রেনিউর অলিম্পিয়াড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মূলত ‘টেকনোপ্রেনিউর অলিম্পিয়াড ২০২৪’ বাংলাদেশ সরকারের ‘ভিশন ২০৪১’-এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যার লক্ষ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার প্রচারের মাধ্যমে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করা। আমাদের দেশকে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে নেয়ার ক্ষেত্রে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এ ধরনের কাজে সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আমি বিশ^াস করি।
প্রতিযোগিতার পাশাপাশি, ডিআইএস অনেক বিনোদনমূলক কার্যক্রমেরও আয়োজন করে, যেমন : একটি ট্রামপোলিন, পাপেট শো, প্যালিওন্টোলজি প্রদর্শনী, লেগো রোবোটিক্স ডেমো, হিউম্যানয়েড রোবোটিক্স ডেমো এবং লাইভ বিজ্ঞান পরীক্ষা, যা ছাত্র এবং অভিভাবক উভয়ের জন্য আকর্ষক ডাইভারশান প্রদান করে। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল পরিবেশ-সচেতন ফ্যাশন শো, যাকে বলা হয় ‘ট্র্যাশন শো’, যা সম্পূর্ণভাবে ডিআইএস কমিউনিটি সার্ভিস ক্লাবের ছাত্রদের দ্বারা আয়োজন করা হয়েছিল। তারা পুনর্ব্যবহারযোগ্য আইটেমগুলো থেকে পোশাক তৈরি করে পরিবেশ সংরক্ষণ সম্পর্কে একটি শক্তিশালী বার্তা প্রেরণ করে তাদের সৃজনশীলতা প্রদর্শন করে।