ফ্লয়েডের আদলে মেগানকে নিয়ে কার্টুন, তোপের মুখে শার্লি এবদো
ব্রিটিশ রাজ পরিবারের পুত্রবধূ ও ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেলকে নিয়ে ফরাসী রম্য ম্যাগাজিন শার্লি এবদোর প্রচ্ছদে সম্প্রতি একটি কার্টুন ছাপা হয়েছে। কার্টুনটি বর্ণবাদী ও কুরুচিপূর্ণ হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই।
কার্টুনে দেখা যায়, রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ তার হাঁটু দিয়ে মেগানের গলা চেপে ধরেছেন। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘মেগান কেন বাকিংহাম ছেড়ে গেছে’। আর মেগানের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘আমি আর নিঃশ্বাস নিতে পারছিলাম না’।
গত বছর মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশি হেফাজতে নিহত কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনার আদলে আঁকা হয়েছে কার্টুনটি। শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চাউভিন হাঁটু দিয়ে ফ্লয়েডের গলা চেপে ধরেছিলেন। জর্জ ফ্লয়েড বারবার ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না’ বলে আকুতি জানানোর পরেও ডেরেক তার হাঁটু সরাননি। টানা নয় মিনিট ধরে এই অবস্থায় থাকার পর মৃত্যু হয় ফ্লয়েডের। এই মৃত্যুর পর প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রে ও পরবর্তীকালে সারা বিশ্ব জুড়ে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।
সম্প্রতি মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএসে অপরাহ উইনফ্রের কাছে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মেগান মার্কেল রাজ পরিবারের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ তোলেন। মেগান বলেন, তিনি যখন অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তখন তার ও প্রিন্স হ্যারির অনাগত ছেলের গায়ের রং কতটা কালো হবে তা নিয়ে রাজ পরিবার উদ্বিগ্ন ছিল।
শার্লি এবদো ফ্লয়েডের মৃত্যুর আদলে কার্টুন প্রকাশ করায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বর্ণগত সমতার জন্য কাজ করা যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রানিমেড ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী ড. হালিমা খাতুন টুইটে বলেন, প্রচ্ছদটি ‘প্রতিটি স্তরে ভুল ছিল’।
ইউনিভার্সিটি অব বাথের রাজনীতি বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক অরেলিন মনডন লিখেছেন, ম্যাগাজিনটি ‘একটি বর্ণবাদী পত্রিকা এবং অনেক দিন ধরেই এমনটা রয়েছে’।