মিয়ানমারে নিহত তরুণীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় হাজারো মানুষ
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারী নিহত তরুণীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় রাজধানী নেপিদোতে রোববার হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়েছেন। খবর বিবিসির।
সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে চলমান এই বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত তিনজন মারা গেছেন। এর মধ্যে প্রথম মৃত্যু হয় মিয়া থোয়ে থোয়ে খাইনের। বিশতম জন্মদিনের দু’দিন আগে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন এই তরুণী। এরপর দশদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
রোববার খাইনের অন্তেষ্টিক্রিয়ায় শ্রদ্ধা জানাতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তার পাশে জড়ো হয়। এদের অনেকে তিন আঙ্গুল উঁচিয়ে স্যালুট জানায়।
মিয়া থোয়ে থোয়ে খাইন একটি সুপারমার্কেটের কর্মী ছিলেন। গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভকারীদের একটি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালালে খাইন গুলিবিদ্ধ হন। তিনি ১০ দিন লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। গত শুক্রবার তিনি মারা যান।
খাইন এখন বিক্ষোভকারীদের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে তার ছবি এখন প্রায়শই ব্যবহার করা হচ্ছে।
রোববার খাইনের কফিন কালো ও সোনালি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়। গাড়ির সঙ্গে চলে শত শত মটরসাইকেল। এদিনও দেশ জুড়ে বিভিন্ন রাস্তায় জনতা বিক্ষোভ করেছে।
বিক্ষোভের সবচেয়ে সহিংস দিন ছিল গতকাল। পুলিশের গুলিতে দু’জন বিক্ষোভকারী গতকাল মারা গিয়েছেন।
জাতিসংঘ এই মৃত্যুর নিন্দা জানিয়েছে। সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগ, হুমকি ও হয়রানি অগ্রহণযোগ্য।’
মিয়ানমারের প্রখ্যাত অভিনেতা লু মিনের স্ত্রী রোববার জানিয়েছেন, সামরিক সরকারের সমালোচনা একটি ভিডিও পোস্ট করার পর লু মিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।