বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত গুচ্ছসহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ধাপে ধাপে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদশে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় তারিখ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। শিগগিরই এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।
দেশে প্রথমবারের মতো ২০টি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে জুনের শেষ দুই শনিবার এবং জুলাইয়ের প্রথম দুই শনিবার বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখার পরীক্ষা হবে। গুচ্ছভুক্ত সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ২৯ মে। এছাড়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ১০ জুন এবং রাজশাহী, খুলনা ও চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট,কুয়েট, চুয়েট) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ জুন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১, ২২, ২৭ ও ২৮ মে এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ থেকে ২০ জুন পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এছাড়া, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ জুন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭ জুন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিতে ৪ ও ৫ জুন পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, সভায় প্রায় সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে আগামী এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত কয়েকটি ধাপে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। পরিষদের সভায় সব উপাচার্যের উপস্থিতিতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা অংশগ্রহণের সুযোগ পায় সেজন্য একটির সঙ্গে অপর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার সময় আলাদা করা হয়েছে। আজকে শুধু দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ অনুযায়ী কিভাবে পরীক্ষা নেবে সেটি নির্ধারণ করবে। এরপর পরিষদের আরেকটি সভায় তা চূড়ান্ত করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার গুচ্ছভুক্ত সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করবে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে ক্যাম্পাসের বাইরে পরীক্ষার কেন্দ্র না করার চিন্তা করছেন তারা।