• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

লাগামহীন তৃণমূল, নিয়ন্ত্রণে কঠোর হচ্ছে আ.লীগের হাইকমান্ড

প্রকাশ:  ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:১৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তৃণমূলে দ্বন্দ্ব-বিভাজন প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। দলটি গ্রুপ-সাব গ্রুপে বিভক্ত জেলা-মহানগর থেকে উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যন্ত। স্বার্থের প্রয়োজনে সংঘাতে জড়ানোর নজিরও মিলছে বহু। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা নির্বাচনের প্রার্থিতা নিয়ে এ বিভাজন বেশি স্পষ্ট হয়েছে। দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী দেয়া, নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে দেয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও বাকযুদ্ধের ঘটনা ঘটছে নিয়মিত।

বড় দলে এরকম হয়ই। তবে আমাদের কেন্দ্রীয় কমান্ডের নির্দেশনা হলো, দল যাকে মনোনয়ন দেবে, তার পক্ষে সবাই মিলে কাজ করতে হবে

সারাদেশে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় টিম। খোদ সাধারণ সম্পাদক (ওবায়দুল কাদের) বিদ্রোহী প্রার্থীদের কেন্দ্রে তলব করেও এসবের সুরাহা করতে পারেননি। অনেক জায়গায় প্রার্থী ও নেতাদের আচরণে বিব্রত কেন্দ্রই বরং পিছু হটেছে। বাকি পৌরসভা ও আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন নিয়েও একই দুশ্চিন্তা আওয়ামী লীগের।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বড় দলে এমন হয়ই। তাদের নয়া কৌশল আছে, যেটার প্রতিফলন শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে এটার আরও প্রতিফলনে এই পরিস্থিতি থাকবে না।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, টানা ১২ বছর ক্ষমতায় থাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দু-তিন গ্রুপে বিভক্ত হয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। এমপির (সংসদ সদস্য) এক গ্রুপ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের আরেক গ্রুপ, এলাকায় কেন্দ্রীয় নেতা থাকলে তার নেতৃত্বে আরেকটি গ্রুপ দেখা যাচ্ছে। জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদেরও অনেক জায়গায় পৃথক গ্রুপ আছে। নিজ গ্রুপ ভারী করতে যাচাই-বাছাই ছাড়াই নেতারা অনেককে দলে ভেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ সুযোগ নিচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের লোকেরা। তারা গা বাঁচাতে আওয়ামী লীগে ঢুকে পড়ছে। এর প্রভাবে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। বিএনপি-জামায়াত দৃশ্যত মাঠে না থাকায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগে দ্বন্দ্বই বারবার চোখে পড়েছে। এ নিয়ে নেতাদের বাকযুদ্ধেও বেশ বিব্রত দলের হাইকমান্ড।

দলীয় সূত্র বলছে, নেতাদের লাগামহীন গ্রুপিং, দ্বন্দ্ব ও সংঘাত রুখতে তলব, শোকজ ও বহিষ্কারের মতো সিদ্ধান্তও নিয়েছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমান্ড। কিন্তু তাতেও ফল মিলছে না।