জনশুমারি ও গৃহগণনা উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় যুগ্ম সচিব ড. মোঃ শাহাদাৎ হোসেন
দেশের বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়নসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজে জনশুমারি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ প্রকল্পের প্রথম জোনাল অপারেশন উপজেলা শুমারি কমিটির অবহতিকরণ ও মতবিনিময় সভা গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিউলী হরির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জনসংখ্যা ব্যুরোর পরিচালক ও সেন্সাস উইং যুগ্ম সচিব ড. মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেশের বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়নসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজে জনশুমারি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জনশুমারির মাধ্যমে কোন্ ওয়ার্ডে, উপজেলায় ও জেলায় লোকসংখ্যা, ঘরবাড়ি, গৃহপালিত পশুপাখি, আবাদি অনাবাদি ভূমি এমনকি কোন্ এলাকায় কোন্ ফসল ভালো জন্মে প্রভৃতির তথ্য জনশুমারির মাধ্যমে জানা যায়। আপনারা অবগত আছেন যে, স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম গৃহগণনা ১৯৭৩ সালে এবং আদমশুমারি ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় ১৯৮১, তৃতীয় ১৯৯১, চতুর্থ ২০০১ এবং পঞ্চম ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রতি দশ বছর অন্তর অন্তর জনশুমারি করে। পরিসংখ্যান আইন ২০১৩ অনুযায়ী অর্থনৈতিক শুমারি এবং কৃষি শুমারির পাশাপাশি জনশুমারি পরিচালনা করার ব্যাপারে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ২০১৩ সালে প্রণীত পরিসংখ্যান গৃহগণনা আগামী ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের প্রতিটি থানা ও সকল জনগণকে শুমারিতে অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি প্রথমবারের মত বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশী নাগরিক ও বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী নাগরিকদেরও এ শুমারিতে গণনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তিনি আরো বলেন, সঠিক তথ্য ব্যতীত সঠিক কোনো পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত দুরূহ। তাছাড়া আমাদের ব্যক্তিগত জীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন তথা রাজনৈতিক জীবনে উন্নয়নের সোপান হিসেবে নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান অত্যন্ত জরুরি। বিবিএস-এর রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান যুদ্ধ বিধস্ত দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৪ সালে পরিসংখ্যান কার্যক্রমে নিয়োজিত ৪টি পৃথক প্রতিষ্ঠানকে একীভূত ও সুসমন্বিত করে তিনি বিবিএস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। উল্লেখ্য, জনশুমারি চলবে ২৪ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত।
মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন যুগ্ম পরিচালক এইচএম ফিরোজ, জেলা শুমারি সমন্বয়ককারী ওয়াহিদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন আক্তার, থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদ হোসেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ ইব্রাহিম মিয়া, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত পরিসংখ্যান কর্মর্কতা এমএ কাসেম, ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আবদুস সোবহান লিটন, সাবেক সভাপতি নুরুন্নবী নোমান ও সংবাদকর্মী আঃ কাদির।