হাইমচরে চারটি লঞ্চঘাটের একটিতেও নেই পণ্টুন যাত্রী দুর্ভোগ
হাইমচর উপজেলার নদীপথে যোগাযোগ অনেক পুরানো। মেঘনা নদী ঘিরে এখানে রয়েছে ৪টি লঞ্চঘাট। বিআইডবিস্নটিএ থেকে ঘাটগুলো ইজারাও দেয়া হয় প্রতি বছর। কিন্তু একটি ঘাটেও নেই পণ্টুন। ঢাকা-চাঁদপুর-হাইমচর-চরভৈরবী নৌরূটের মেঘনা নদীতে প্রতিদিন দিনে এবং রাতে একাধিক যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করছে। চারটি লঞ্চঘাটে পণ্টুন না থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
শুক্রবার দুপুরে হাইমচর উপজেলার ২নং উত্তর আলগী ইউনিয়নের কাটাখালী বাজার লঞ্চঘাট গিয়ে দেখা যায়, ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চগুলো এই ঘাটে নদীর পাড়ে এসে নোঙ্গর করে আছে। কাঠের সিঁড়ি লাগিয়ে যাত্রী ও মালামাল উঠানামা করছে। চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাত্রীরা নদীর পাড়ে এসে লঞ্চে উঠতে হয়। ওঠার সময় অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
চাঁদপুর বিআইডবিস্নউটিএ প্রতি বছর হাইমচর উপজেলার কাটাখালী লঞ্চঘাট, তেলির মোড় লঞ্চঘাট, হাইমচর বাজার লঞ্চঘাট ও চরভৈরবী মাছঘাট সংলগ্ন লঞ্চঘাট ইজারা দিয়ে রাজস্ব আদায় করলেও এসব লঞ্চঘাটে কোনো পণ্টুন দেয়নি।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, হাইমচর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার কর্মজীবী মানুষ ও ব্যবসায়ী কাজের জন্যে নিয়মিত ঢাকা ও চাঁদপুর যাতায়াত করেন। হাইমচরে চারটি লঞ্চঘাটে কোনো ধরনের পণ্টুন না থাকায় লঞ্চগুলো নদীর পাড়ে এসে নোঙ্গর করার কারণে পাড় ভেঙে চৌচির হয়ে গেছে। এছাড়া লঞ্চে কাঠের সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় যাত্রীরা অনেকে দুর্ঘটনা কবলিত হচ্ছেন।
বিআইডবিস্নউটিএর কর্মকর্তাদের উদাসীনতা ও দায়িত্ব অবহেলার কারণে তারা এই ৪টি লঞ্চঘাটে পণ্টুন না দেয়ায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অতি দ্রুত নৌপথে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে এই ঘাটগুলোতে পণ্টুন দেয়ার জোর দাবি জানান সচেতন মহল।