• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ইন্টারনেটের বর্ধিত শুল্ক কমানোর দাবি আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর

প্রকাশ:  ২০ জুন ২০২০, ১৪:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে ইন্টারনেটে সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এ বর্ধিত শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।


১৯ জুন শুক্রবার যুব সংসদের বাজেট অধিবেশন- ২০২০ এ এই প্রস্তাব করেন তিনি। ভার্চুয়াল এ অধিবেশনের আয়োজন করে ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ও অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ।

 


দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া। এছাড়া বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ, অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবীর প্রমুখ উপস্থিতি ছিলেন।

 


প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ জানান, বর্তমানে ১০ কোটি মোবাইল ব্যবহারকারী রয়েছে। ১৬ কোটি সিম ব্যবহার করছে। এছাড়া ১০ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এটি অনেকে কমানোর কথা বলছে। আমি তাদের সঙ্গে একমত।

 


আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের শুল্ক ১০ শতাংশ ছিল, এটা কমিয়ে ৫ শতাংশ করা গেলে বেশি ভালো হত। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে আগের ন্যায় অন্তত ১০ শতাংশ রাখার প্রস্তাব করেছি আমরা। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীকে বলা হয়েছে, আমরা বলেছি। পাশাপাশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে দাফতরিকভাবে অর্থ মন্ত্রণালয়কে লিখিত প্রস্তাব দিয়ে আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে অর্থমন্ত্রী আমাদের এই প্রস্তাব গ্রহণ করবেন।

 


কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের সময় এই ১০০ দিনই সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থী ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল। তারা ক্লাস করছে। এছাড়া আমাদের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক বিভিন্ন সেবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে। এসব কারণে চলমান সংকটের সময় ইন্টারনেট ও ই-কমার্স ব্যবহারকারী ৫০ শতাংশ বেড়েছে। এমন অবস্থায় এ খাতে শুল্ক বাড়ানো ঠিক হবে না জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।

তরুণদের উন্নয়নে সরকার বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ইউনিয়ন পর্যায়ে আইসিটি সেবা প্রদান করা হচ্ছে। আগামী ২০২১ সাল নাগাদ নতুন করে ২০০০ আইটি সেবা যুক্ত করা হবে।

তিনি বলেন, আমাদের ছয় লাখ আইটি ফ্রিল্যান্সার আছে। এক কোটি প্রবাসী তরুণ ও যুবক রয়েছেন যারা ১৬ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। যে অর্থে আমাদের দেশের অীর্থনৈতিক চাকা সচল রয়েছে। ৪০ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিক ৩০ বিলিয়ন বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে সহযোগিতা করছে।

তিন কোটি মনুষ কৃষি শ্রমের সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে সরকার কৃষিতে জোর দিয়েছে। কৃষিকে আধুনিকায়ন করতে শিক্ষিত যুবকদের এ খাতে এগিয়ে আসতে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও সরকারি সহায়তা দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আগামীতে ৬৪ জেলায় শেখ কামাল আইটি সেন্টার স্থাপন করা হবে বলে তিনি জানান।

দিনব্যাপী এ আয়োজনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ছিলেন সাবেক শিক্ষা সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব নজরুল ইসলাম খান। এছাড়া স্পিকার হিসেবে ছিলেন ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অমিয় প্রাপণ চক্রবর্তী। সূত্র : জাগো নিউজ।

সর্বাধিক পঠিত