বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব
আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে মুখর কহর দরিয়াখ্যাত টঙ্গীর তুরাগপাড়ের বিশ^ ইজতেমা ময়দান। গত বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। দেশ-বিদেশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমানের উপস্থিতিতে চলেছে ইমান ও আখলাকের উপর বয়ান।
মঙ্গলবার থেকেই ইজতেমায় অংশ নিতে ৬৪টি জেলার মুসল্লিরা ইজতেমাস্থলে আসতে শুরু করেছেন। ১৯ জানুয়ারি রোববার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে ৫৫তম বিশ^ ইজতেমা।
দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমারও প্রথম দিন শুক্রবার হওয়ায় কয়েক লক্ষ মুসল্লি নিয়ে বৃহৎ জুমার নামাজ আদায় করা হবে। জুমার নামাজে গাজীপুর ও আশপাশের এলাকার বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশ নেবেন।
৫৫তম বিশ^ ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের সমন্বয়ক হাজী মুনির হোসেন জানান, মঙ্গলবার থেকে অনেক মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে চলে আসায় বৃস্পতিবার বাদ ফজর থেকে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে প্রাক বয়ান চলতে থাকে। বাদ ফজর প্রাক বয়ান করেন ভারতের মাওলানা মুফতি শেহজাত, বয়ানের অনুবাদ করেন বাংলাদেশের কাকরাইল মসজিদের ইমাম মুফতি আজিম উদ্দিন, বাদ জোহর বয়ান পেশ করেন ভূপাল মুরব্বি ইকবাল হাফিজ। বয়ানের তরজমা করেন, কাকরাইলের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা মনির ইউছুফ, বাদ আসর বয়ান করেন বাংলাদেশের মাওলানা সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, বাদ মাগরিব মূল আমবয়ান করেন ভারতের মাওলানা শামীম তার বয়ান বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা জিয়া বিন কাসেম।
শুক্রবার বাদ ফজর বয়ান করেন ভারতের মাওলানা চেরাগ আলী। তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা আশরাফ আলী।
বিশ^ ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আমির ইঞ্জিনিয়ার ওয়াসেফুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় ভারতের নিজামুদ্দিন মারকাজের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভি এ ইজতেমায় আসবেন না। তবে নিজামুদ্দিনের পক্ষ থেকে তাবলিগের শীর্ষ মুরব্বি ও আলেমসহ ৩২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যে বিশ^ ইজতেমায় এসে পৌঁছেছেন। তাদের তত্ত্বাবধানেই পরিচালিত হবে বিশ^ ইজতেমা। এ ছাড়া বাংলাদেশের ৬৪ জেলা থেকে দ্বিতীয় পর্বের এ ইজতেমায় অংশগ্রহণ করতে আসছেন মুসল্লিরা। তারা জেলা ভিত্তিক নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিচ্ছেন।
ইতোমধ্যে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় অংশ নিতে সৌদি আরব, পাকিস্তান, ভারত, ইরাক, তুরস্ক থেকে শুরু করে এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে বিদেশি মেহমানসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ইজতেমা স্থলে হাজির হয়েছেন। এ পর্বের ইজতেমায় আগত মানুষের ঢল অব্যাহত থাকবে রোববার আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত।
এ পর্বেও মুসল্লিদের জন্য থাকছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়া অসুস্থ মুসল্লিদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মহানগর পুলিশ জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশনসহ সরকারি সকল দফতর সার্বক্ষণিক ভাবে মুসল্লিদের সেবা দানে ব্যস্ত সময় পার করছে। সূত্র : জাগো নিউজ।