বাজারজুড়ে অস্থিতিশীলতা বিমান থেকে পিয়াজ নামাতে ব্যাপক প্রস্তুতি
মিসর থেকে বিমানে আনা পিয়াজ দ্রুত নামাতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। আগামীকাল পিয়াজ নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো বিমানটি অবতরণ করার সঙ্গে সঙ্গে যাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পিয়াজ খালাস করা হয় সেজন্য সিভিল এভিয়েশন, কাস্টমস, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে গতকাল বিকালে প্রস্তুতি সভা করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আবদুল লতিফ বকশী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, এস আলম গ্রুপ মিসর থেকে বিমানে যে পিয়াজ আনছে, তা যাতে কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই দ্রুত খালাস করা হয় সে লক্ষ্যে এই প্রস্তুতি সভাটি করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুবাই থেকে বিমানে পিয়াজ আনার বিষয়টি মনিটরিং করছেন। ফলে কাল পিয়াজের বিমান অবতরণ করার পর পণ্যটি খালাসের বিষয়ে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য আগেভাগেই বিমানবন্দরের সব সংস্থাকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
এর আগে শনিবার বিকালে বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছিলেন, মিসর থেকে এস আলম গ্রুপের আমদানি করা পিয়াজ বিমানে তোলা হয়েছে। মঙ্গলবারের মধ্যে এটি ঢাকায় পৌঁছাবে। বেসরকারিভাবে আমদানি হলেও এই পিয়াজ টিসিবির মাধ্যমে সারা দেশে সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়া ইউক্রেন ও তুরস্ক থেকেও পিয়াজ আনা হচ্ছে। আমদানি মূল্য যাই থাক, সরকারি প্রতিষ্ঠান টিসিবির মাধ্যমে এসব পিয়াজ সরবরাহ করায় সাধারণ মানুষ কম দামে পণ্যটি কিনতে পারবেন বলে জানান সচিব। এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গতকাল দেশি জাতের কলি পিয়াজ উঠেছে। খুচরা দোকান ও মহল্লার ভ্যানে পাতাসহ এই পিয়াজের কেজিপ্রতি দাম ছিল ১২০ টাকা। এ ছাড়া আমদানি করা পিয়াজের দাম আগের দিনের চেয়ে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে গতকাল ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। রাজধানীর মিরপুরের কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। মিরপুরের খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, মানিকগঞ্জ ও সাভার থেকে সকালে আগাম জাতের কলি পিয়াজ আনা হয় ছোট ছোট পিকাপে। গাবতলী ও মিরপুর ১ নং কাঁচাবাজার থেকে এসব পিয়াজ খুচরা ব্যবসায়ীরা ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে কিনে নেন। পরে সেই পিয়াজ ১২০ টাকা কেজি দরে তারা বিক্রি করছেন। খুচরা দোকানিরা আরও জানান, দেশি পিয়াজ বাজারে আসতে শুরু করায় আমদানি করা পিয়াজের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। তারপরও গতকাল পণ্যটি ২২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তবে মিসর ও তুরস্ক থেকে আনা পিয়াজ বাজারে এলে দাম আরও কমে যাবে বলে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন।