আজ মধ্যরাতেই ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শেষ
ইলিশ নিধনে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা আজ বুধবার মধ্যরাত থেকে শেষ হচ্ছে। মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করতে গত ৮ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে এ নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে ‘মা-ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০১৯’ উপলক্ষে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ৯ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে।
এ সময়ে সারা দেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাত, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে বলে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়। সেই হিসেবে আজ মধ্য রাতে নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে।
যদিও ইলিশ সারা বছরই ডিম ছাড়ে। তবে প্রধানত আশ্বিনের পূর্ণিমার চার দিন আগে এবং পূর্ণিমার পর ১৮ দিন পর্যন্ত সময়ে মা ইলিশ ডিম ছাড়ে। এ সময়ে ৮০ শতাংশ ডিম ছাড়ে মা ইলিশ।
এ বছর জাতীয় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে এক কর্মশালায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, প্রজনন মৌসুমে ইলিশ রক্ষার পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে গত ১০ বছরে ইলিশের উৎপাদন বেড়ে এখন দেশের শতাধিক উপজেলার নদীতে তা পাওয়া যাচ্ছে।
সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপের কারণে গত ১০ বছরে ইলিশের উৎপাদন ৭৮ শতাংশ বেড়েছে বলেও জানানো হয়। যদিও এবছর শুরু থেকেই নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা নানা অভিযোগে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। কারণ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ নিধনের মহোৎসবের খবর পাওয়া গেছে নদী-তীরবর্তী গ্রামগুলোতে। পুলিশ-জনপ্রতিনিধিরাও এ অভিযোগে অভিযুক্ত। তবে মৎস্য অধিদপ্তরের দায়িত্বশীলতা বরাবরের মতো মা ইলিশ রক্ষায় সফলতা দাবি করেছেন। যতটুকু ব্যর্থতা, তার জন্য দায়ী করেছেন জনবল সংকটকে।
মৎস্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, গত ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিভাগে নিষেধাজ্ঞা অমান্যের অভিযোগে এক হাজার ১৬৫ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গত বছর ২২ দিনে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল ৮৬৫ জনকে। অর্থাৎ গত বছরের চেয়ে এবার শাস্তির সংখ্যা অনেক বেশি।