ইলিশ রক্ষায় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় নৌপুলিশের ডিআইজি
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রমে নৌ পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত নদীতে নৌ পুলিশের ডিআইজি মোহাম্মদ আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নৌ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে ১৯ রাউন্ড গুলি ছুড়ে ও ৩০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে সে জাল নদীতীরে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। ইলিশ অভয়াশ্রম কর্মসূচির আওতায় চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে মা ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। নদীতে নৌ-পুলিশের অভিযানে ৩ হাজার ১শ’ জেলেকে জেল-জরিমানা এবং ১৫ কোটি মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। এছাড়া ৩৮ টন মা ইলিশ জব্দ করা হয়। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কারেন্ট জালের উৎপাদন বন্ধে জাল তৈরির কারখানাতে নৌ-পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এছাড়া নৌ পুলিশের অভিযান আরো জোরালো করতে নৌযানসহ বিভিন্ন ধরনের সাপোর্ট বাড়ানো হবে বলে নৌপুলিশের ডিআইজি জানান।
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে নৌ ডিআইজি আরো জানান, কারেন্ট জাল যেন উৎপাদন না হয় সে জন্যে আমরা নদী ছাড়াও জাল তৈরির জায়গা বন্ধ করার চেষ্টা করছি। আমারা মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরে ৩০ অক্টোবরের পরেও আমাদের অভিযান পরিচালনা করবো। জেলেদের গ্রেফতার করা বা তাদের হয়রানি করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, আমাদের উদ্দেশ্য তাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। জেলেরা যেন নিষিদ্ধ সময়ে নদীতে মাছ না ধরে অন্য কোনো কাজ করে; তারাও যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় মাছগুলোও যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ মাহবুবুর রহমান, মোল্লা নজরুল, পুলিশ সুপার এবিএম হারুনুর রশিদ, সফিকুল ইসলাম ও জমশের আলী।
এছাড়াও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল মোরশেদ, নৌ পুলিশের ইন্সপেক্টর আবু তাহের খানসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।