মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে মতলব উত্তরে ৭ জেলে আটক ॥ ৫ জেলের কারাদন্ড
সরকারি নিষেধ অমান্য করে নদীতে নামলেই ব্যবস্থা
মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে মা ইলিশ ধরাকালে ৭ জেলে, ২টি নৌকা ও ১৫ হাজার মিটার জাল আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তারের নেতৃত্বে উপজেলা টাস্কফোর্স এ অভিযান পরিচালনা করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫ জেলেকে ১ বছর করে কারাদ- দেয়া হয়। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ২ জনকে মুচলেকা দিয়ে অভিভাবকের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯-এর তফসিলভুক্ত মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০-এর ৫(ক) ধারায় সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন : মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার মোল্লাকান্দি গ্রামের নবী হোসেনের ছেলে মোঃ সাঈদ হোসেন (২২), মোঃ ইউসুফ মোল্লার ছেলে মেহেদী হাসান (১৯), বারেক মোল্লার ছেলে ইউসুফ মোল্লা (৪৫), সিরাজুল হকের ছেলে নবী হোসেন (৪৮) ও মৃত আলমাছের ছেলে হযরত আলী (৫৫)। আটককৃত কবিরের ছেলে মোঃ কানন (১০) ও মাছুমের ছেলে মোঃ আরাফাত (১১)কে মুচলেকা দিয়ে অভিভাবকের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। আটককৃত সবাই মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার মোল্লাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। আটক জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
রাতেই ষাটনল বাবুরবাজারে মা ইলিশ রক্ষায় আটক জেলেসহ অন্যান্য জেলেকে নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার। এ সময় তিনি বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় সরকারের সকল প্রকার নিষেধ ও কার্যক্রম জেলেদের মানতে হবে। দেশের ইলিশ সম্পদ রক্ষায় সকলকে সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারের নিষেধ অমান্য করে কেউ নদীতে নামলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ যদি এ সময় নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ধরা পড়ে সে সরকারের কোনো সুযোগ-সুবিধা পাবে না।
তিনি আরো বলেন, প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ সংরক্ষণের জন্যে সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে সরকার। আদেশে বলা হয়, প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ অ্যাক্ট ১৯৫০ অনুযায়ী এ বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর মোট ২২ দিনে ইলিশ বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকারের এই আদেশ অমান্য করে ইলিশ মাছ আহরণ ও বিক্রয় করলে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছর কারাদ- বা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে।