চাঁদপুর মাছঘাটে ইলিশে কেজিতে ১শ’ টাকা মূল্য বৃদ্ধি
চাঁদপুর থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি শুরু হয়েছে। গত দু’দিন যাবৎ এখান থেকে ইলিশের চালান যাচ্ছে। তবে কী পরিমাণ ইলিশ পাঠানো হয়েছে সঠিক তথ্য গোপন রাখা হচ্ছে। এদিকে ভারতে ইলিশ পাঠানোর এলসি চালু হওয়ার প্রভাব পড়েছে চাঁদপুরে। মাছঘাটের পাইকারী আড়তে কেজি প্রতি ১শ’ টাকা বেড়েছে বলে জানান স্থানীয় ইলিশ ব্যবসায়ীরা। আগের দিন যেই ইলিশ ৪শ’ থেকে সাড়ে ৪শ’ টাকা এবং ৭/৮শ’ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, এখন সেই ইলিশ পাইকারী কেনা পড়ছে সাড়ে ৫শ’ টাকা থেকে ১ হাজার টাকার উপরে। কেবল ৩ নম্বর নরম ইলিশের (ভেলকা মাছ) দাম কম রয়েছে। এই মাছ ১২ থেকে ১৫/১৬ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। ২৯ সেপ্টেম্বর রোববার সরজমিনে চাঁদপুর প্রধান ইলিশ বিক্রয় কেন্দ্র মাছঘাটে গিয়ে এ তথ্য জানা যায়।
একটি সূত্র জানায়, ঘাটের কৃষ্ণা দে, আনোয়ার গাজী ও দেলু খাঁ ইন্ডিয়াতে ইলিশ চালান করেন। এলসিতে তারাই এখন মাছ পাঠাচ্ছেন। এ ব্যাপারে চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ শবে বরাত জানান, চাঁদপুর থেকে ৩-৪শ’ মণ ইলিশ ভারতে চালান হয়েছে। বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে যেহেতু ইলিশ পাঠাতে হয়, তাই বরিশাল থেকে বেশি পরিমাণ ইলিশ যাচ্ছে। চাঁদপুর হতে ইলিশ যাচ্ছে কম। এলসি চালু হওয়ায় এখানে মাছের দাম কেজিতে পঞ্চাশ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তিনি জানান।
এ দিকে চাঁদপুর মাছঘাটে হাতিয়া ও ভোলার ইলিশ আমদানি অব্যাহত থাকায় ঘাটে এখন প্রচুর ইলিশ। তবে স্থানীয় পদ্মা-মেঘনার ইলিশ আমদানি চোখে পড়ার মতো নেই বলে জানিয়েছেন আড়তদাররা।
উল্লেখ্য, দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছা হিসেবে ভারতে ৫শ’ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বেনাপোল বন্দর হয়ে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বাংলাদেশের ইলিশ পাঠানো হবে। রোববার প্রথম চালানে ২৪ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি হয়েছে বলে বন্দর সূত্রে জানা গেছে। প্রতি কেজি ইলিশের মূল্য ছয় ডলার (প্রায় ৫০০ টাকা) ধরা হয়েছে। তবে এতে কোনো শুল্ক ধরা হয়নি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।