ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী সমাধান বের করতে হবে : পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব
চাঁদপুর পুরাণবাজার শহর রক্ষাবাঁধের ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার। পরিদর্শন শেষে তিনি ভাঙ্গন মোকাবেলায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ এবং পরবর্তীতে স্থায়ী পরিকল্পনার বিষয়ে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের পানি সম্পদ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন। গতকাল ৪ আগস্ট রোববার বিকেল সাড়ে চারটায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শওকত ওসমানের সভাপ্রধানে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের চীফ ইঞ্জিনিয়ার (ডিজাইন) মোতাহার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ জামাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, চাঁদপুর সদর ইউএনও কানিজ ফাতেমা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, চাঁদপুর (পওর) নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী প্রমুখ। বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া জীবন, ইকরাম চৌধুরী, ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌস, চাঁদপুর চেম্বারের পরিচালক গোপাল চন্দ্র সাহা ও পৌর কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান দর্জি।
সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, চাঁদপুরে নদী ভাঙ্গন সমস্যাটাই প্রধান। যমুনা, পদ্মা ও মেঘনার অনেক পানি চাঁদপুর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এ নদী ভাঙ্গন। ছোটখাট কাজে এ এলাকা রক্ষা করা যাবে না। বহুবার এখানে কাজ করা হয়েছে, আমরা ফেল করছি। এ মুহূর্তের ভাঙ্গনরোধে আমাদেরকে জরুরিভাবে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। এখনকার কাজটি হলো ভাঙ্গন ঠেকানো। সার্ভে করার জন্যে আমাদের হাইড্রোগ্রাফিক ডিজিটাল টীম চলে এসেছে। ডিজাইন চীফ ইঞ্জিনিয়ারও এসেছেন। স্ট্যাডি করে নদী কেনো ভাংছে তা নির্ণয় করে সে অনুযায়ী ভাঙ্গন প্রতিরোধে পদক্ষেপ আমরা নেবো।
তিনি বলেন, আপততকালীন সময়ে এখন ভাঙ্গন স্থানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ এবং সিসি ব্লক দুটিই আমরা ফেলবো। যেহেতু আমরা কাজ শুরু করেছি, মন্দির এলাকাসহ আরো যে জায়গা ভাংছে, আশা করি ভাঙ্গন ঠেকাতে পারব।
তিনি বলেন, চাঁদপুরের নদী ভাঙ্গন রোধে আমাদেরকে স্থায়ী একটা সমাধান বের করতে হবে। আপনারা জানেন যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ডেলটা প্ল্যান ঘোষণা করেছেন। সেই ডেলটা প্ল্যানের মধ্যে নদীর যে সবস্থানে মোহনা রয়েছে, সে সব মোহনা ব্যবস্থাপনাকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে চাঁদপুরকেও রাখা হবে। এখানে প্রয়োজনে সুপার ডাইক তৈরি করা হবে। অনেক শক্তিশালীভাবে করা হবে, যাতে কোনো অবস্থায় পানির চাপে সেগুলোকে ভাংতে না পারে। এ কাজ সময়সাপেক্ষ। আপাতত আমাদের লক্ষ্য থাকবে এ বছরের মধ্যে চাঁদপুর শহর যেনো হুমকি না হয় তা নিশ্চিত করব।
এর আগে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব পুরাণবাজার হরিসভা মন্দির এলাকার নদী ভাঙ্গনস্থান পরিদর্শন করেন।