পাটের সঠিক মূল্য নিয়ে শঙ্কায় কৃষকরা ॥ জেলায় দিন দিন পাট চাষ হ্রাস পাচ্ছে
চাঁদপুরের পাট ব্যবসায়ীদের বড় আকারের সিন্ডিকেটের কারণে পাট বিক্রিতে সঠিক মূল্যের স্থলে কম মূল্য পাওয়ায় চাঁদপুর জেলায় দিন দিন পাটের আবাদ কমে যাচ্ছে। এ কারণে জেলার ৮ উপজেলায় এ বছর পাট চাষাবাদ ও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। চলতি মৌসুমে চাষকৃত পাট কাটা শুরু হয়েছে। অনেক কৃষক পাট বিক্রি করতেও শুরু করেছেন। তবে তাদের অনেকের মধ্যে হতাশা কাজ করছে, যে পরিমাণ পাট চাষে খরচ হয়েছে, সে পরিমাণ সঠিক মূল্য পাবে কি না।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলায় এ বছর পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩৮৮২ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ৩২১৫ হেক্টর। মেসতা ও কেনাফ জাতের ৬৬৭ হেক্টর পাট কোনো কৃষকই আবাদ করেনি। যার ফলে লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হয়েছে। সাধারণত চাঁদপুরের চাষীরা দেশীয় ও তোষা জাতের পাট আবাদ করেন।
চাঁদপুর জেলা সদর, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় কৃষকরা পাট কাটতে শুরু করেছে। আবার কেউ কেউ পাট শুকিয়ে বাড়ি থেকেই বিক্রি শুরু করেছেন। পাট আবাদে যে পরিমাণ খরচ হয় কৃষকদের সে হিসেবে খরচ পুষিয়ে সঠিক মূল্য না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক কৃষক।
কৃষকরা জানান, পাটের বাজার মূল্য কয়েকদিনের মধ্যে বাড়ছে আবার কমেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে লোকসান গুণতে হবে এ বছর কৃষকদের। বিভিন্ন উপজেলার খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, স্থানীয়ভাবে কৃষকদের কাছ থেকে পাট ক্রয় করে বড় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। এ ক্রয়-বিক্রয় করতে গিয়েও তাদের লোকসান গুণতে হচ্ছে অনেক সময়।
চাঁদপুর জেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা নোয়াখেরুল ইসলাম বলেন, এ বছর পাটের আবাদ ভালই হয়েছে। তবে পাটের মূল্য কম পাওয়ায় কৃষকরা আবাদে আগ্রহ হারাচ্ছে। এতে করে পাট চাষ দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। সঠিক মূল্য পেলে জেলার পাট চাষীরা পাট চাষ করলে আগামীতে পাটের আবাদ বাড়বে।