চরভৈরবীতে নদীর তীর রক্ষা কাজ উদ্বোধন
হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী ইউনিয়নের জালিয়ারচর এলাকায় নদীর তীর রক্ষা বাঁধ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী ও উপজেলা নির্র্বাহী অফিসার ফেরদৌসি বেগম শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির পক্ষে এ কাজ উদ্বোধন করেন।
জানা যায়, জালিয়ারচর এলাকার অবশিষ্ট ৮৬০ মিটার নদীর তীর রক্ষায় স্থায়ী বাঁধের জন্য ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। নির্বাচিত ঠিকাদার এএস ইনিঞ্জনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন নির্দিষ্ট সময়ে কাজ না করায় এবং নদীর পানি বৃদ্ধি হওয়ায় নদী ভাঙ্গনের শিকার হয় মানুষজনের বসতভিটা, ফসলি জমিন, মাছের আড়তসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারীকে এলাকার লোকজন নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি জানালে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। জরুরি ভিত্তিতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে নদীর তীর রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেন। শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির আন্তরিকতায় ঐ ঠিকাদারের মাধ্যমে জালিয়ারচর এলাকায় বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়।
নদীর তীর রক্ষা বাঁধ কাজের উদ্বোধন কালে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী বলেন, গত কয়েকদিন পূর্বে আমি আপনাদের কথা দিয়েছিলাম শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির মাধ্যমে জালিয়ারচর এলাকাকে নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করবো। আপনাদের দেয়া কথামতই ডাঃ দীপু মনির মাধ্যমে এসএস ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশনকে কাজ করার জন্যে বাধ্য করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঐ ঠিকাদার তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমি আশা করি আপনাদের ভিটেমাটি রক্ষা পাবে। তিনি বলেন, ডাঃ দীপু মনি যেখানে যে প্রতিশ্রুতি দেন তা করেন। আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে তাঁর আদর্শকে লালন করে যেখানে যেই প্রতিশ্রুতি দেই তা বাস্তবায়ন করি।
উপজেল নির্বাহী অফিসার ফেরদৌসি বেগম বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর প্রচেষ্টায় এ এলাকার অবশিষ্ট নদীর তীর রক্ষা বাঁধের জন্য ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। খুব সহসাই ঠিকাদার স্থায়ীভাবে নদীর তীর রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করবেন। এখন যে নদীর ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে তার প্রতিরোধ করার জন্য নির্বাচিত ঠিকাদারের মাধ্যমে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, হাইমচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জহিরুল ইসলাম খাঁন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মোঃ হুমায়ুন প্রধানীয়াসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।