হাইমচরে প্রতি বছর মরিচ বিক্রি হয় ১৪ কোটি টাকা!
হাইমচর উপজেলার চরাঞ্চলে উৎপাদিত মরিচের এ বছর বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে করে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। তারা আগামীতে মরিচ চাষে আরো আগ্রহী হলে এ এলাকায় মরিচ উৎপাদন ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এসব এলাকায় আরো দুই মাস আগ থেকেই মরিচ ক্রয়-বিক্রয় শুরু হয়েছে। এই উপজেলার প্রায় ৭ হাজার কৃষক মরিচ আবাদের সাথে জড়িত রয়েছে। তাদের উৎপাদিত মরিচ প্রতি বছর বিক্রি হয় প্রায় ১৪ কোটি টাকায়।
হাইমচর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে মরিচ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৯শ’ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ৮শ’ হেক্টরে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৩শ’ ২০ মেট্রিক টন। ঘূর্ণিঝড় ফণী ছাড়া মরিচ আবাদে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের আগ থেকেই অনেক কৃষক জমি থেকে মরিচ উত্তোলন শুরু করেন। এই উপজেলায় উৎপাদিত মরিচ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায়ও রপ্তানি করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ১নং গাজীপুর, ৫নং হাইমচর ও ৪নং নীলকমল ইউনিয়নের চরগুলোতেই মরিচের বেশি আবাদ হয়। এর মধ্যে গাজীপুর চর, মনিপুর পূর্ব চর, মনিপুর উত্তর, মনিপুর দক্ষিণ, মাঝের চর ও ঈশানবালাসহ আশপাশের চলগুলোতে প্রচুর পরিমাণে মরিচ আবাদ হয়।
কৃষকরা জানান, প্রতি বছরের ন্যয় এ বছর চরাঞ্চলের মাটি মরিচ আবাদ করার জন্য উপযোগী হওয়ার কারণে প্রায় সকল কৃষকই মরিচ আবাদ করেছেন। এখন বাজারে শুকনো মরিচই বেশি ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। তবে তারা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না বলে অনেকেই অভিযোগ করছেন।
হাইমচর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, চরাঞ্চলের মাটি খুবই উর্বর। এ জন্যে কৃষকরা দিন দিন মরিচ চাষে ঝুঁকে পড়ছে। এ ফসলে রোগবালাই কম হয়। উৎপাদন ভাল হওয়ার কারণে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।