মতলব উত্তর ইউএনও’র অফিসারের মোবাইল কোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তারের ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনে স্বপ্রণোদিত হয়ে রিট করেছেন একজন আইনজীবী।
জানা গেছে, মতলব উত্তর উপজেলায় স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আব্দুল করিম নামে এক ব্যক্তিকে গত ২৬জুন বুধবার বিনাশ্রম এক বছরের কারাদ- প্রদান করে মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তারের ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাঁর এ রায়কে চ্যালেঞ্জ করে স্বপ্রণোদিত হয়ে দায়িত্ব বোধ থেকে মহামান্য হাইকোর্টে ৩ জুলাই বুধবার রিট পিটিশনটি করেন অ্যাডভোকেট আশিকুর রহমান। রিট পিটিশন নং ৭২৮১/২০১৯।
রিটে উল্লেখ করা হয়, উক্ত ঘটনা নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০ (২০০৩ সংশোধিত) ৯(৪)খ ধারায় বিচারযোগ্য ছিল। কিন্তু মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তারের ভ্রাম্যমাণ আদালত বিষয়টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে না পাঠিয়ে মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯-এর অধিনে অভিযুক্তকে এক বছরের সাজা প্রদান করেন। গত ২৭ জুন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টায় এক ব্যক্তি কারাগারে সংবাদটি দেখে উপযুক্ত আদালতে বিচার হয়নি মর্মে স্বেচ্ছা প্রণোদিত হয়ে দায়িত্ব বোধ থেকে তিনি রিট করেন বলে উল্লেখ করা হয়।
জানা যায়, ২৬ জুন স্কুল ছাত্রীটি সহপাঠীদের সাথে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল। সকাল ১১ টায় উপজেলার ভেদুরিয়া বাজার এলাকায় পৌঁছলে আব্দুল করিম কৌশলে মেয়েটিকে একটি দোকান ঘরের পেছনে নিয়ে যায়। সেখানে ছাত্রীটির মুখে গামছা বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ছাত্রীটির গোঙানির শব্দ শুনে তার সহপাঠীরা ছুটে এসে ডাক-চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন আব্দুল করিমকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে মুঠোফোনে ঘটনাটি জানানো হয়। দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনি ঘটনাস্থলে যান এবং মোবাইল কোর্ট বসিয়ে আব্দুল করিমকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেন।