• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

শিশুকে বিনোদনের মাধ্যমে শিক্ষা দিতে পারলে সে শিক্ষা ফলপ্রসূ হবে : শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি

প্রকাশ:  ০৪ জুলাই ২০১৯, ১৩:৪৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) অন্যান্য সরকারি অফিসের মতো কোনো প্রতিষ্ঠান নয়। এটি একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান। এখানে যারা চাকরি করেন তাদের দায়িত্বশীল হতে হবে। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের নতুন প্রজন্মকে গড়ে তোলার জন্যে শিক্ষাক্রম নির্ধারণ করা হয়। শিক্ষাক্রম নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে কনটেন্ট যুগোপযোগী হতে হবে। বিষয়বস্তু অবশ্যই চতুর্থ  শিল্পবিপ্লব মোকাবেলা করার মতো উপযোগী হতে হবে। শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করতে হবে। বিনোদনের মাধ্যমে যে শিক্ষা দেয়া হয় তা খুবই টেকসই হয়।
তিনি ১ জুন দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে এনসিটিবির সম্মেলন কক্ষে ২০১৯-২০ সালের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর বাধ্যতামূলক বই, বাংলা সাহিত্য পাঠ, বাংলা সহপাঠ ও ইংরেজি বই বাজারজাতকরণের উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র সাহার সভাপ্রধানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
উপমন্ত্রী সরকারের অর্জনের সহযোগী হতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। শুধু মাত্র নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থের কারণে বাজারে নকল বই বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ার করেন। দেশের কথা ভেবে অপরাধ থেকে বিরত থাকারও তিনি আহ্বান জানান।
সোহরাব হোসাইন বলেছেন, নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা, ফলাফল প্রকাশ এবং পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করা এ সরকারের সবচেয়ে বড় সফলতা।
কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বইটি আরও আগে ছাপতে পারলে আরো ভালো হতো। তারপর ক্লাস শুরু হওয়ার সাথে সাথে বই বাজারে সরবরাহ করা বড় ধরনের সফলতা।
উল্লেখ্য, এবার বাজারে ৩০ লাখ বইয়ের চাহিদা রয়েছে। তার মধ্যে ২০ লাখ বই ইতোমধ্যে দেশের ৬৪টি জেলার ৪ হাজার বইয়ের দোকানে সরবরাহ করা হয়েছে।