চাঁদপুরে ৭ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি
‘মানবতার মা শেখ হাসিনা, ক্ষুধার জ্বালায় বাঁচি না, এক দেশে দুই নীতি, মানি না মানব না, মাস শেষে বেতন চাই, চাকুরি শেষে পেনশন চাই’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে রাষ্ট্রীয় কোষাগার হতে পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের সম্মানী ভাতা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শতভাগ বেতন ভাতা প্রদানসহ পেনশন প্রথা চালুর দাবিতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে চাঁদপুরের ৭টি পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। সোমবার ১ জুলাই থেকে তাদের এই কর্মসূচি শুরু হয়।
মঙ্গলবার ২ জুলাই সকাল থেকে চাঁদপুর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে পরে বৃষ্টির কারণে প্রেসক্লাবের নীচতলায় তারা এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
অবস্থান কর্মসূচির শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মোঃ হাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি, চাঁদপুর জেলা সভাপতি, চাঁদপুর পৌরসভার সচিব মোঃ আবুল কালাম ভূঁইয়ার সভাপ্রধানে ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মফিজ হাওলাদর ও পৌর কর্মচারী সংসদের সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন শাহরাস্তি পৌরসভার সচিব তোফায়েল আহম্মেদ, ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সচিব একেএম খোরশেদ আলম, হাজীগঞ্জ পৌরসভার সচিব আবু আজম বিনতে শরীফ, চেঙ্গারচর পৌর সংসদের সভাপতি মাহমুদ উল্যাহ নিপু, চাঁদপুর পৌরসভার সহকারী হিসাবরক্ষক অ্যাডঃ মজিবুল হক সেলিম, ফরিদগঞ্জ পৌরসভার অফিস সহকারী আসমা আক্তার পলি, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদুন্নবী, কচুয়া পৌরসভার হোসেন আহম্মেদ, চাঁদপুর পৌরসভার কার্যসহকারী গোপাল চন্দ্র বণিক, মতলব পৌরসভার কর আদায়কারী শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা তাদের বেতন ভাতা চালুর বিভিন্ন দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনি মানবতার মা, আপনি দেশের সকল পেশার জনগণের সমস্যা সমাধান করেছেন। হে মানবতার মা, আপনি জানেন, কাক ডাকা ভোর থেকে নিশি রাতেও আপনার এই সন্তানেরা দেশের জনগণের স্বার্থে কাজ করে। ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার, মৃত্যু সনদ, মানুষকে কবরস্থান বা চিতায় পৌঁছানো এমন কাজ নেই যা আমরা করি না। হে মানবতার মা, এতো কষ্টের পরও মাস শেষে বেতন পাই না, অনাহারে অর্ধাহারে জীবন কাটাচ্ছি, মানবেতর জীবন চলছে আমাদের, ১-৫ বছর বেতন বাকি, দোকানিরা সদাই দেয় না, অসুস্থ সন্তানের চিকিৎসা চলে না, চিকিৎসার অভাবে নিজেরা এবং পরিবারের সদস্যরা মৃত্যুর বহু প্রমাণ রয়েছে।
সবশেষে বক্তারা আগামী ১৪ জুলাই থেকে এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বা মৃত্যু পর্যন্ত এ দাবি আদায়ে সকলের সহযোগিতা চান।
উল্লেখ্য, গত ২ দিন ধরে পৌর কর্মকর্তা-কমচারীদের এ আন্দোলনের কারণে সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুর জেলার ৭টি পৌরসভার সকল কালক্রম বন্ধ থাকায় জন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তারপর ও সাধারণ জনগণের বক্তব্য হচ্ছে সরকার তাদের এ যৌক্তিক দাবিপূরণে নজর দিবেন।