• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চির বিদায় নিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ঝর্ণা ধারা চৌধুরী ॥ ঢামেকে দেহ দান

প্রকাশ:  ৩০ জুন ২০১৯, ০৯:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে হাজারো মানুষের ভালোবাসায় শেষ বিদায় নিলেন বাংলাদেশ গান্ধী আশ্রম ট্রস্ট-এর সচিব একুশে পদক, বেগম রোকেয়া পদক, ভারত সরকার কর্তৃক প্রদত্ত ৩য় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘পদ্ম শ্রী’ পদকসহ সেবামূলক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বহু পদকে ভূষিত শ্রীমতি ঝর্ণা ধারা চৌধুরী। তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে গত ২৭ জুন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় ৮৫ বছর বয়সে ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন (দিব্যান লোকান স্বঃগচ্ছতু)। তার মৃতদেহ গত ২৮ জুন শুক্রবার বিকেলে তার কর্মস্থল নোয়াখালী জেলার জয়াগস্থ গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টে নিয়ে আসা হলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। তাকে শেষবারের মতো একনজর দেখার জন্যে সকাল থেকে হাজারো মানুষ গান্ধী আশ্রমে সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষা করতে থাকে। বিকেল সাড়ে ৫টায় তার মরদেহ গান্ধী আশ্রমে পৌঁছলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। এ সময় জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। ভারতীয় হাই কমিশনার (চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত), নোয়াখালী জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দসহ অনেকেই সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে মরদেহের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এ সময় প্রয়াত ঝর্ণা ধারা চৌধুরীর মামা চাঁদপুর অনলাইন রক্তদাতা সংগঠন ‘জীবনদীপের’ প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডঃ বিনয় ভূষণ  মজুমদারের নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্য পরেশ মালাকার, অ্যাডঃ শাওন পাটোয়ারী খোরশেদ, বিমল চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা বাসুদেব মজুমদার, সুরঞ্জিত কর, সুদীপ্ত রায় সুদীপ, মৃদুল দাস, দীপক দাসও তার প্রতি শেষবারের মত পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। পরে সন্ধ্যা সাতটায় ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি জীবদ্দশায় তার দেহ মেডিকেলে দান করে যান। তার ইচ্ছে পূরণ করার জন্যই তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন না করে তার দেহ চিকিৎসা সেবার প্রয়োজনে ঢাকা মেডিকেলে পৌঁছে দেয় গান্ধী আশ্রম কর্তৃপক্ষসহ তার আত্মীয়-স্বজন। ব্যক্তিজীবনে তিনি ছিলেন অবিবাহিত। তিনি তার জীবদ্দশায় গান্ধী আশ্রমসহ আশপাশের মানুষের কাছে দেবীর মতো মর্যদাশীল মহিয়সী নারীর মর্যদা পেয়েছিলেন। তাকে সকলেই ‘মা’ বলে সম্বোধন করতেন। তার মহাপ্রয়ানে এলাকায় শূন্যতা নেমে আসে।