• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

প্রচন্ড দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন

আষাঢ়ে নেই মেঘের ঘনঘটা ॥ আবহাওয়াবিদরা বলছেন, তাপমাত্রা আরও তিন-চার দিন থাকবে

প্রকাশ:  ২৭ জুন ২০১৯, ১৩:৫৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

বাংলাদেশে আষাঢ শুরু হয় জুন মাসের শুরুতে। এ ঋতুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো আবহাওয়ায় হালকা ঠা-া আর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। কিন্তু লক্ষ্য করার বিষয় হলো, এ বছর আষাঢের বৈশিষ্ট্যের ছিটেফোঁটাও নেই এদেশের আবহাওয়ায়। হালকা ঠা-া ও বাতাসের পরিবর্তে দেখা মিলছে গ্রীষ্মের ন্যায় দাবদাহ। আর এ দাবদাহ থেকে রেহাই পাচ্ছে না চাঁদপুরের মানুষ। প্রচ- দাবদাহে অতিষ্ঠ এখানকার জনজীবন। গরমের তীব্রতা যেনো কয়েক গুণ বেড়ে অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।
আষাঢ়ে নেই মেঘের ঘনঘটা। অঝোর ধারার বৃষ্টিও লুকিয়েছে। কখনো কখনো উঁকি দিলেও তাতে মেলে না প্রশান্তি। রোদের দাপটে যেনো অসহায় বৃষ্টি। ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ন্যায় চাঁদপুরের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ।
আবহাওয়া নিয়ে আপডেট দেয়া একুওয়েদারের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, বুধবার ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রামে তাপমাত্রা  রয়েছে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এখন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সঙ্গে যে ভ্যাপসা গরম চলছে, তা আরও তিন-চার দিন থাকবে। উত্তরাঞ্চলে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় সিলেট-ময়মনসিংহ অঞ্চলে বৃষ্টি হবে।
এবারের বর্ষায় গরমের এমন তেজ সাম্প্রতিক বছরগুলোর তুলনায় একটু বেশি। বর্ষার বিলম্বিত আগমনের কারণেই আষাঢ়েও আবহাওয়া কিছুটা চড়া বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে,  ৩০ জুন বা ১ জুলাইয়ের দিকে বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে সারাদেশে।
সরজমিনে দেখা গেছে, প্রচ- গরমে ঘামে ভিজে জর্জরিত হয়ে কোমলপানীয়, লেবুসহ বিভিন্ন শরবত ও ডাবের ভাসমান দোকানের দিকে ছুটছেন পথচারী। আবার অনেকে দেখা গেছে হাঁটার পথে কিংবা রাস্তার আশপাশে একটু ছায়া পেলেই গরম থেকে বাঁচার জন্যে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। পাড়া-মহল্লা ও গ্রামের শিশুরা দল বেঁধে নদী ও পুকুরে আনন্দ-গোসলে মেতে উঠছে।
সূর্যের প্রখর তাপে শ্রমজীবী মানুষের শরীর থেকে অঝরে ঘাম ঝরছে। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেক মানুষ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রচ- এ দাবদাহ অব্যাহত থাকায় দিন দিন বেড়ে চলছে গরমজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।