• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

কাল বসছে না পদ্মা সেতুর স্প্যান

প্রকাশ:  ০২ মে ২০১৯, ১২:১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র কারণে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) বসছে না পদ্মা সেতুর স্প্যান। ‘ফণী’ ভারতের উপকূলে আঘাত হানার পর কিছুটা দুর্বল হয়ে আগামী শনিবার (৪ মে) বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র কারণে পদ্মা সেতুতে ১২তম স্প্যান ‘৫-এফ’ বসানোর পরিকল্পনা বাতিল করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

পদ্মা সেতুর উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র কারণে স্প্যান বসানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে এলে পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করে স্প্যানটি বসানো হবে।
সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, এবার একেবারে সেতুর মাঝামাঝি অংশে ২০ ও ২১ নম্বর পিলারের ওপর ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যান বসানো হবে। এই স্প্যান বসানো হলে পদ্মা সেতুর ১ হাজার ৮০০ মিটার অংশ দৃশ্যমান হবে।

পদ্মা সেতুর সর্বশেষ স্প্যানটি বসানো হয়েছিল ২৩ এপ্রিল। ওইদিন শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ৩৩ ও ৩৪ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় এই স্প্যান। এর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় ১ হাজার ৬৫০ মিটার।

২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এর চার মাস পর ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারের ওপর দ্বিতীয় স্প্যানটি বসানো হয়। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে পাঁচটি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ করা হয়েছে। ১০ এপ্রিল মাওয়ায় ১৩ ও ১৪ নম্বর পিলারে দশম এবং সবশেষ ১১তম স্প্যানটি বসে ২৩ এপ্রিল।
দ্বিতল পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য (পানির অংশের) ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। ডাঙার অংশ ধরলে সেতুটি প্রায় নয় কিলোমিটার দীর্ঘ হবে। খুঁটির ওপর ইস্পাতের যে স্প্যান বসানো হবে, এর ভেতর দিয়ে চলবে ট্রেন। আর ওপর দিয়ে চলবে যানবাহন। পুরো সেতুতে মোট পিলারের সংখ্যা ৪২। প্রতিটি পিলারে রাখা হয়েছিল ছয়টি পাইল। একটি থেকে আরেকটি পিলারের দূরত্ব ১৫০ মিটার। এই দূরত্বের লম্বা ইস্পাতের কাঠামো বা স্প্যান জোড়া দিয়েই সেতু নির্মিত হবে। স্প্যানের অংশগুলো চীন থেকে তৈরি করে সমুদ্রপথে জাহাজে করে আনা হয় বাংলাদেশে। জোড়া লাগানো হয় মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে।

বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্পটিতে ব্যয় হবে ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি। মূল সেতু নির্মাণ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। আর নদীশাসনের কাজ করছে চীনের আরেক প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন।

সর্বাধিক পঠিত