• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

শিক্ষার মানোন্নয়নে জোর দিচ্ছি

প্রকাশ:  ২৮ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:৩০ | আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০১৯, ১৪:০৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চলতি মেয়াদের প্রথম ১০০ দিন পার করেছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে  মন্ত্রিসভার সদস্যদের মুখোমুখি হয় বণিক বার্তা। ধারাবাহিক আয়োজনের দ্বিতীয় পর্বে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাইফ সুজন ও তানিম আহমেদ। শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে ১০০ দিন পার করেছেন।

শিক্ষা খাত নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?

গত ১০ বছরে দেশে যে বিপুল উন্নয়ন হয়েছে, শিক্ষা খাত এর ব্যতিক্রম নয়। তবে কিছু সংকট তো আছেই। ১৯৭৩ সালে আমাদের উচ্চশিক্ষা খাতের তদারককারী প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) যখন প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ছয়, এখন এ সংখ্যা প্রায় দেড়শ। তাই ইউজিসিকে শক্তিশালী করে এর সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। আমাদের ২০১২ সালে প্রণীত পাঠ্যক্রমের কোথাও কোথাও কিছু ভুল রয়েছে বা ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ বছর সেটি রিভিউ করার একটি সুযোগ এসেছে। আমরা সেটি সংশোধন ও পরিমার্জনের কাজ করছি। এছাড়া দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি রয়েছে দীর্ঘদিনের। গত বছর এর একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। সে প্রক্রিয়া সম্পন্নের কাজ করছি।

কোন বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন?

গত ১০ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে, সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়েই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছি। সেক্ষেত্রে আমাদের যে নির্বাচনী ইশতেহার, আমরা সেটাই অনুসরণ করব। ইশতেহারে শিক্ষার মানের ওপর বেশি জোর দেয়া হয়েছে। আমাদের একটি শিক্ষানীতি রয়েছে, এটি বাস্তবায়নের কাজও শুরু হয়েছে। শিক্ষা আইন করার একটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। একটি খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছিল। কিন্তু সেটির কোনো কোনো অংশে বিদ্যমান কয়েকটি আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় তা প্রত্যাহার করা হয়। এখন আমাদের প্রচেষ্টা হলো যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষা আইন প্রণয়ন করা, সে লক্ষ্যে কাজ করছি। আমাদের একটি অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল করার উদ্যোগ ছিল, আইনও করা হয়েছে, চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছেন। এখন আমাদের কাজ হবে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গঠন করা ও সামনে এগিয়ে নেয়া।

আপনি শিক্ষার মানের কথা বললেন। সেটি কীভাবে করবেন?

যখনই আপনি শিক্ষার মানের কথা বলবেন, তখন অবশ্যই মানসম্মত শিক্ষকের প্রয়োজন পড়বে। সেক্ষেত্রে শিক্ষক প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। এখন আমাদের শিক্ষকদের চাকরিতে যোগদান করার পরও প্রশিক্ষণের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। কারণ আগের ব্যাকলগ রয়েছে। তাই নায়েমের সক্ষমতা বাড়াতে চাই। আমাদের যেসব প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট রয়েছে, সেগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে চাই, যাতে নিয়োগ পাওয়ার পর পরই শিক্ষকরা প্রশিক্ষণের সুযোগ পান। প্রশিক্ষণ পেয়েই যেন একজন শিক্ষক পাঠদান শুরু করতে পারেন। আবার নতুন চিন্তাও হচ্ছে। এখন শিক্ষকরা নিয়োগ পাওয়ার পর বিএড অথবা এমএড করছেন। আমরা চিন্তাভাবনা করছি, এটিকে চাকরির আগে নিশ্চিত করা যায় কিনা। কারণ যোগদানের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের শিক্ষকদের লম্বা সময়ের জন্য ছাড়তে চায় না। এছাড়া পাঠ্যবইয়ের মানোন্নয়নেও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

আমরা একটি শিক্ষানীতি করেছি। আমরা এখন চাই সফল বাস্তবায়ন। শিক্ষা আইন হলে, শিক্ষা কমিশন হলে, ইউজিসি, নায়েমের সক্ষমতা বাড়াতে পারলে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারলে, পাঠদানের মান বাড়াতে পারলে আমাদের যে লক্ষ্য—গুণগত মান, সেটি অর্জন সম্ভব।প্রাথমিক-পরবর্তী স্তরে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বড় অংশই পরিচালিত হচ্ছে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। এসব প্রতিষ্ঠানে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের পক্ষে কতটুকু সম্ভব?শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বড় অংশই পরিচালিত হচ্ছে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়, এটি ঠিক। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানে সরকারের অবদান বিশাল। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বই, অবকাঠামো, শিক্ষক প্রশিক্ষণ—সবই কিন্তু সরকার করে। আর এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম প্রক্রিয়াগতভাবেই মনিটর করা হয়। যেমন পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের মাধ্যমে এক ধরনের তথ্য পাওয়া যায়। কোনো প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখার মান খারাপ হলে ফলাফলে তা ফুটে উঠবে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা কিংবা পাঠদানের অনুমতি, এমন বিভিন্ন বিষয় মনিটর করা হয়। আমরা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ওই অর্থে নিয়ন্ত্রণ করতে চাই না, কিন্তু তাদের সব তথ্যই আমাদের কাছে রয়েছে। এছাড়া ব্যানবেইস তো সার্বক্ষণিক বিভিন্ন ধরনের জরিপ পরিচালনার মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছে। তাই এটা বলা যাবে না, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের নজরদারির একদম বাইরে রয়েছে।গুণগত শিক্ষার ক্ষেত্রে দুর্বল অবকাঠামো বড় একটি চ্যালেঞ্জ। অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে কী ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছেন?শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য এরই মধ্যে আমরা একটি জরিপ চালিয়েছি। কোন প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো কেমন, কোথায় কী ঘাটতি রয়েছে, সে তথ্য সংগ্রহ করেছি। যাতে সময়মতো আমরা তাদের প্রয়োজন মেটাতে পারি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে যেন আমাদের পেছনে দৌড়তে না হয়, আমরাই যাব তাদের কাছে।

সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হলেও সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। এ পদ্ধতি সংস্কারের কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি?

সৃজনশীল পদ্ধতি নিয়ে নানা জায়গায় নানা আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে। সেটা নিয়ে আমরা বিচার-বিশ্লেষণ করছি। এ পদ্ধতি বিশ্বের অন্যান্য দেশ কীভাবে বাস্তবায়ন করছে, আমরা কীভাবে করছি, তফাত কোথায়, সেগুলো খতিয়ে দেখছি, যাতে সত্যিকার অর্থে নোট বই, গাইড বই, কোচিংয়ের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনা যায়। আমরা গত কয়েক বছরে এত উন্নতি করা সত্ত্বেও এই একটি জায়গায় পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়নি। এখানে অনেক অসাধু চক্রের দৌরাত্ম্যও আছে। আমরা যদি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে একটি মানের জায়গায় নিয়ে যেতে পারি, তাহলে এসব অসাধু চক্রের দৌরাত্ম্য স্বাভাবিকভাবেই কমে যাবে।টেকসই

উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন ও দক্ষ জনশক্তি রফতানির লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে দেশের জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে রূপান্তরের কথা বলা হচ্ছে। সে লক্ষ্য অর্জনে কী কাজ করছেন?

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরের যে কথা বলছেন, সেক্ষেত্রে শিক্ষা হচ্ছে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। আমরা যে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের কথা বলছি, সে শিল্পবিপ্লব হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে। সেক্ষেত্রে আমাদের মতো দেশ যেন কোনোভাবে পিছিয়ে না পড়ে, আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি। ওই শিল্পবিপ্লবের জন্য আমাদের যে জনসম্পদ তৈরি করা প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে শিক্ষা খাতের বিশাল দায়িত্ব রয়েছে। ঠিক সময়ে যেন আমরা ঠিক ইন্টারভেনশনটি করতে পারি, সেটিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদের আরো বেশি যোগ্য জনশক্তি লাগবে। এক্ষেত্রে আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, সে চ্যালেঞ্জ অবশ্যই মোকাবেলা করতে পারব।

এছাড়া শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক ইনোভেশন ও গবেষণার দরকার রয়েছে। আমরা এ খাতগুলোকে প্রাধান্য দিচ্ছি। এছাড়া বিশেষ জোর দেয়া হচ্ছে কারিগরি শিক্ষায়। কারিগরি শিক্ষায় অংশগ্রহণের হার ২০২০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ ও ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশে উন্নীত করার কাজ চলছে। এছাড়া সাধারণ বিদ্যালয়গুলোতেও কারিগরি শিক্ষার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যাতে এ শিক্ষা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়া যায়।

সম্প্রতি অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া নুসরাতের ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি করার বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। সেটি বাস্তবায়নের হার খুব কম...

নুসরাতের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনায় আমরা শোকাহত। এ ধরনের ঘটনা আমাদের জন্য লজ্জাজনকও। যৌন হয়রানির ঘটনা বাড়ছে কিনা, সেটি পরিসংখ্যানের বিষয়। তবে আমার সাধারণ পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, আগে এসব বিষয় সামনে আনা হতো না। ধামাচাপা দেয়া হতো। এখন অনেক বেশি সামনে আসছে। এটি ভালো। যত বেশি সামনে আসবে, আমরা তত প্রতিবাদ ও প্রতিকারের জায়গায় এগোতে পারব। আসলে যৌন হয়রানির ঘটনা সারা দুনিয়ায়, এমনকি উন্নত বিশ্বেও ঘটে। আমাদের দেশে এটি আগে থেকেই ছিল। এমনকি পারিবারিক পর্যায়েও অনেক ধরনের যৌন হয়রানি ঘটত, সেগুলো কখনো আলোর মুখ দেখত না। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন তারা এসব ঘটনা সামনে নিয়ে আসছে, প্রতিবাদ করছে। এখন মানুষ অধিকারসচেতন। বর্তমানে একজন বাবা কিংবা একজন মা বিশ্বাস করেন, তার মেয়ের ওপর যে নির্যাতন হয়েছে, সেটি আমার মেয়ের অপরাধ নয়, তার অধিকার রয়েছে এর বিচার পাওয়ার। এ সচেতনতাবোধ কিংবা অধিকারবোধ থেকেই প্রতিবাদ বেশি হচ্ছে।

উচ্চ আদালত থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নির্যাতন ও হয়রানি প্রতিরোধে যে কমিটি করার কথা বলা হয়েছে, সে আলোকে আমাদের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কমিটি করার বিষয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। কীভাবে কমিটি করা হবে, কারা থাকবে, কী পদ্ধতিতে সেটি বাস্তবায়ন হবে, সে নির্দেশনা আদালতের রায়ে রয়েছে। সে আলোকে কমিটি গঠনের জন্য বলা হয়েছে। নির্দেশনার বাস্তবায়ন বিষয়েও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে মনিটর করা হবে।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন?

আমাদের ছেলেমেয়েদের মধ্যে, বিশেষ করে বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিকের পাশাপাশি এক ধরনের মানসিক অস্থিরতা কাজ করে। এজন্য মাঝেমধ্যে শিক্ষার্থী আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটছে। সে সমস্যাগুলো মোকাবেলা করতে আমাদের একটি পরিকল্পনা হচ্ছে শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, কাউন্সেলর কিংবা সাইকোলজিস্ট নিয়োগ দেয়ার। শুরুতে সব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়া সম্ভব হবে না। তবে আমরা চেষ্টা করব প্রতিটি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে একজন করে নিয়োগ দিতে। তিনি প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক বা একাধিক শিক্ষককে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবেন।শিক্ষক নিয়োগ, বদলি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনুমোদন, শিক্ষার্থী ভর্তি, সনদ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আছে।

বর্তমান সরকার দুর্নীতির বিষয়ে শূন্য সহনশীলতার যে ঘোষণা দিয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এর বাস্তবায়ন কতটুকু?

প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিষয়ে শূন্য সহনশীলতার যে ঘোষণা দিয়েছেন, সেটি অনেক আগ থেকেই চর্চা হয়ে আসছে। দুর্নীতি দূর করার জন্য আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি। এরই মধ্যে ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন এনেছি। আমরা দুটি উপায়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করছি। একটি হচ্ছে পুরো ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করা। অন্যটি যখনই কোনো অনিয়মের তথ্য আসে, তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া। সেক্ষেত্রে আমি অবশ্যই বলব, দুর্নীতিগ্রস্ত কেউ আমার কাছে, উপমন্ত্রীর কাছে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাবে না, আশ্রয়-প্রশ্রয় পাবে না।

আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়ছে অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এসব অনিয়ম বন্ধে আপনারা কী উদ্যোগ নিচ্ছেন?

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত যে আইন রয়েছে, তা অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই অনুসরণ করে না। আবার আইনটির কোথাও কোথাও আরো যুগোপযোগী করার প্রয়োজন রয়েছে। আইনটির বয়স প্রায় ১০ বছর। আবার গত এক দশকেই দেশের বেশির ভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন পেয়েছে। তাই আইনটির সংশোধন ও পরিমার্জন প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। পাশাপাশি ইউজিসির যে সক্ষমতা বাড়ানোর কথা বলেছি, সেটি করতে পারলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনিয়ম বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া সহজ হবে।দেশে উচ্চশিক্ষা খাতের বড় একটি অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও অবকাঠামো সংকট প্রকট...গত ১০ বছরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। সেশন জট নিরসন হয়েছে। এখনো কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমার মতে, কলেজগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ করার চেয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ই দেশের আটটি বিভাগে আটটি ক্যাম্পাস করতে পারে। সেখানে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পরিবেশ পাবে। কারণ ক্লাস-পরীক্ষা দিয়ে শুধু ডিগ্রি নেয়া নয়; শিক্ষার জন্য প্রয়োজন একটি ক্যাম্পাস। কেননা মানুষ যতটা না পড়ে শেখে, এর চেয়ে বেশি শেখে পরিবেশ থেকে। সেটি করলে খুবই ভালো হয়।সুত্রঃবণিকবার্তা

সর্বাধিক পঠিত