ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে সপ্তাহব্যাপী ‘গ্লোবাল মানি উইক’
সপ্তাহব্যাপী ‘গ্লোবাল মানি উইক ২০১৯’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ২৪ মার্চ রোববার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৭১ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশে^র ১৩৭টি দেশের সাথে তাল মিলিয়ে ‘সেইভ লার্ন আর্ন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সপ্তাহব্যাপী এ উৎসব আয়োজন করেছে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ স্কিল ডেভলপমেন্ট ইনস্টিটিউট। উৎসবের চীফ প্যাট্রন বাংলাদেশ ব্যাংক এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিঃ। সপ্তাহব্যাপী আয়োজনে পার্টনার হিসেবে ছিলো সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ইএমকে সেন্টার, বিল্ড বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ক্লাব, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, এসআইওয়াইবি বাংলাদেশ ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাব। আর মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিলো এটিএন বাংলা, নাগরিক টিভি, নিউ এইজ, বণিক বার্তা ও রেডিও ভূমি।
সপ্তাহব্যাপী আয়োজনের মধ্যে ছিলো জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ওয়ার্কশপ ও সেমিনার আয়োজন, টক শো, মাস্টার ক্লাস, মাইন্ড ম্যাপিং, শিল্পকারখানা পরিদর্শন, মানি মিউজিয়াম পরিদর্শন, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো এবং তাদের সাথে সেতুবন্ধন রচনা করা, বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা ও তরুণ উদ্যোক্তাদের পুরস্কৃত করা। প্রধান অতিথি হিসেবে সাত দিনের গ্লোবাল মানি উইক ২০১৯ উৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক আবুল বাশার।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ মাহাবুবুল ইসলামের সভাপ্রধানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সিরাজুল হক, এসএ টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খ ম হারুন, ফিউচার লিডারস্-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান কাজী এম আহমেদ ও সি ওয়াই এফ আই-এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি আমেনা হাসান এনা ও সি ওয়াই এফ আই-এর এমবাসেডর ফারিয়া খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ‘গ্লোবাল মানি উইক ২০১৯’-এর আহ্বায়ক ও সিওয়াইএফআই-এর এমবাসেডর কে এম হাসান রিপন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক আবুল বাশার বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমাদের সন্তানদেরকে সঞ্চয়ের মানসিকতা নিয়ে গড়ে তুলতে হবে। তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার আর্থিক কারণে হুমকির মধ্যে পড়বে না। গ্লোবাল মানি উইক উদ্যাপন কিশোর তরুণ শিক্ষার্থীদেরকে সঞ্চয়ী হতে উদ্বুদ্ধ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে স্কুল ব্যাংকিং জনপ্রিয় হচ্ছে। বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংক মিলিয়ে ১৮ লাখ স্কুল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট রয়েছে যেখানে ১৫শ’ কোটি টাকা সঞ্চিত রয়েছে। এই অভূতপূর্ব অর্জনের জন্য বাংলাদেশ ২০১৭ সালে বিশে^র ১৯০টি দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে গ্লোবাল ইনক্লুসিভ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে বলে তিনি জানান।
তরুণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আবুল বাশার আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পথে রয়েছে। এজন্য দেশকে এসডিজির লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। আর এসডিজির অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্য দূরীকরণ ও নারীর ক্ষমতায়ন। এসব লক্ষ্য অর্জনের জন্যে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা অর্জন করা খুবই জরুরি। তাই শিক্ষার্থীদেরকে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্যে এখন থেকেই সঞ্চয়ী হওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম বলেন, আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন স্কুল ব্যাংকিংয়ের কোনো সুযোগ ছিল না। এখন স্কুল ব্যাংকিং কিশোর ও তরুণ শিক্ষার্থীদের সামনে বিরাট সুযোগ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইতিমধ্যে অনেক শিক্ষার্থীই স্বাবলম্বী হয়েছে। অনেকে উদ্যোক্তা হয়েছে। সুতরাং প্রতিটি শিক্ষার্থীর সঞ্চয়ী হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিশেষ অতিথি সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিরাজুল বলেন, তরুণ প্রজন্মের হাত ধরেই বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ এই পর্যায়ে এসেছে। আমাদের তরুণরা অসম্ভব সম্ভাবনাময়। তারা ব্যাংকিং সেক্টরকে বদলে দিচ্ছে। স্কুল ব্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ যে সাফল্য দেখিয়েছে তা নজিরবিহীন। ব্যাংকগুলো যদি আরো পরিকল্পিত উপায়ে কাজ করে তবে সাফল্য আরো দ্রুত আসবে বলে অভিমত দেন সৈয়দ ওয়াসেক মোঃ আলী।