পুরস্কৃত হলেন ৫৯ জন র্যাব সদস্য
৫৯ জন র্যাব সদস্যকে ২০১৮ সালের বিভিন্ন আভিযানে সাহসিকতা দেখানোয় বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
জঙ্গি, মাদক, অস্ত্র ও সার্বিকভাবে— এই চার ক্যাটাগরিতে র্যাবের বিভিন্ন ব্যাটালিয়নকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। জঙ্গি দমনে অগ্রণি ভূমিকা পালন করায় জঙ্গি ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে র্যাব-১৩। বাকি তিনটি ক্যাটাগরিতেই প্রথম স্থান অর্জন করেছে চট্টগ্রাম, ফেনী, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবন ও কক্সবাজার এলাকা নিয়ে গঠিত র্যাবের ব্যাটালিয়ন ৭।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) র্যাব সদর দফতরে সংস্থাটির ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুরস্কার ঘোষণা ও বিজয়ীদের সম্মানিত করা হয়। ‘সাহসিকতা’ ও ‘সেবা— এই দুই ক্যাটাগরিতে তাদের পুরস্কৃত করেন র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।
বিশেষ সম্মাননা (সাহসিকতা) পুরস্কার পাওয়া ৩৪ জনের মধ্যে র্যাব-১-এর একজন, র্যাব-২-এর একজন, র্যাব-৩-এর দুইজন, র্যাব-৪-এর একজন, র্যাব-৫-এর চারজন, র্যাব-৬-এর একজন, র্যাব-৭-এর চারজন, র্যাব-৮-এর তিনজন, র্যাব-১০-এর একজন, র্যাব-১১-এর দুইজন, র্যাব-১২-এর একজন, র্যাব-১৩-এর দুইজন, র্যাব-১৪-এর একজন, র্যাব-১৫-এর একজন, অপারেশনস উইংয়ের একজন, ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের সাতজন এবং লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের একজন সদস্য রয়েছেন।
বিশেষ সম্মাননা (সেবা) পুরস্কার পাওয়া ২৫ জনের মধ্যে র্যাব-১-এর একজন, র্যাব-৬-এর একজন, র্যাব-৯-এর একজন, র্যাব-১৩-এর দুজন, র্যাব-১৪-এর একজন, অপারেশনস উইংয়ের একজন, ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের তিনজন, প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের নয়জন, লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের দুইজন, এয়ার উইংয়ের একজন, কমিউনিকেশন অ্যান্ড এমআইএস উইংয়ের একজন, আরএনডি সেলের একজন এবং র্যাব ফোর্সেস ট্রেনিং স্কুলের একজন রয়েছেন।
জঙ্গি সংক্রান্ত আভিযানিক সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে প্রথম স্থান অধিকার করেছে গাইবান্ধা, রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় নিয়ে গঠিত র্যাব ব্যাটালিয়ন-১৩। দ্বিতীয় স্থানে র্যাব-৫ ও তৃতীয় স্থানে র্যাব-১১।
মাদকবিরোধী অভিযানে প্রথম স্থান অর্জন করেছে র্যাব-৭, দ্বিতীয় র্যাব-৫ ও তৃতীয় স্থানে র্যাব-১। অস্ত্র উদ্ধার অভিযানেও প্রথম স্থানে র্যাব-৭। দ্বিতীয় স্থানে র্যাব-৮ ও তৃতীয় স্থানে র্যাব-৫। সার্বিভাবেও প্রথম স্থানে রয়েছে র্যাব-৭। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে রয়েছে র্যাব-৫ ও র্যাব-১৩।