• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ইউএনওর অনুদান প্রদান

বাকিলায় বাবা-ছেলেসহ ৪ জনের সংসারের সব ছাই করে দিলো সর্বনাশা আগুন

প্রকাশ:  ০৭ মার্চ ২০১৯, ১১:১১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

হাজীগঞ্জের বাকিলায় বাবা ও ৩ ছেলেসহ চারজনের সংসারজীবনের সর্বস্ব পুড়িয়ে দিলো সর্বনাশা আগুন। গতকাল বুধবার দুপুরে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামের দাস (মালি) বাড়িতে। এতে করে ওই পরিবারের কমপক্ষে ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে গৃহকর্তা জানিয়েছেন।
    এদিকে ঘটনার দিন বিকেলেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সকল সদস্যকে শুকনো খাবারসহ অনুদান প্রদান করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়–য়া।
    স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, অজিত দাস ৪ রুমের একটি টিনশেড বিল্ডিংয়ের ১ রুমে নিজে এবং অপর ৩ রুমে ৩ ছেলে তাদের স্ত্রী নিয়ে বাসবাস করে আসছেন। বলা চলে একটি রুম একটি আলাদা সংসার বা আলাদা পরিবারের বাস। আর সেই সংসার সবাই সবার ক্ষমতাবলে সাজিয়ে নিয়েছেন। সেই সাজানো সংসারেই বুধবার দুপুরে হানা দিলো সর্বনাশা আগুন। ক্ষতিগ্রস্ত সংসারগুলো হলো বাবা অজিতের নিজের সংসার আর তার ৩ ছেলে রিপন, শিপন এবং স্বপনের সংসার।
    অজিত দাস ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে স্বপনের রুমের কোনো এক স্থান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তেই পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় স্থানীয়রা যে যেভাবে পেরেছে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছে। আর এ সময়ই হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। স্থানীয়দের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আধাঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। কিন্তু ততক্ষণে ওই পরিবারগুলোর ৯০ শতাংশ পুড়ে ছাই করে দেয় সর্বনাশা আগুন।
    গৃহকর্তা অজিত দাস জানান, আগুনে তার ও তার ৩ ছেলের নগদ ৪ লাখ টাকা, ৩ পুত্রবধূসহ নিজের স্ত্রীর মিলিয়ে ১৫ ভরি স্বর্ণ আর আসবাবপত্র, টিভি ফ্রিজ, কাপড়সহ সবকিছুই পুড়ে গেছে।  
    হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ওসামান গণির বরাত দিয়ে অপর ফায়ার সার্ভিসকর্মী জানান, ওই পরিবারের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩ লাখ টাকা। তবে স্বর্ণ-গয়না আমরা উদ্ধার করে ওই পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছি।
    স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান ইউসুফ পাটোয়ারী বলেন, সরকারিভাবে ইউএনও স্যারসহ আমরা ঘটনার দিন বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে অনুদান দিয়েছি।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়–য়া জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে ৬ হাজার টাকা করে মোট ২৪ হাজার টাকা, জনপ্রতি ২ বান্ডেল করে ঢেউটিন, ১ বস্তা করে শুকনো খাবার আর কম্বল দেয়া হয়েছে। আমরা সরকারি উদ্যোগে এ পরিবারকে বসতঘর তৈরি করে দেবো।