• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মৎস্য অভয়াশ্রম বাস্তবায়ন ও জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম-২০১৯

আজ থেকে দুই মাস পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ

প্রকাশ:  ০১ মার্চ ২০১৯, ০২:৪০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

মার্চ-এপ্রিল ২ মাস মৎস্য অভায়শ্রম বাস্তবায়ন ও জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম-২০১৯ শুরু হচ্ছে আজ শুক্রবার থেকে। ইলিশের পোনা জাটকা সংরক্ষণের জন্যে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস নদীতে জাল ফেলা নিষিদ্ধ ঘোষণাপূর্বক সকল মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এর ফলে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে এবং হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী হতে লক্ষ্মীপুর জেলার চরআলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার নদী এলাকায় সকল প্রকার জাল ফেলা ও মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। অভয়াশ্রম চলাকালীন ইলিশসহ যে কোনো মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও সরবরাহ আইনত দ-নীয় আপরাধ।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী জানান, এবারের অভয়াশ্রম বাস্তবায়নের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘কোনো জাল ফেলব না, জাটকা মাছ ধরব না’। তিনি আরো জানান, জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্যে ইতোমধ্যে জেলা টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, জেলা মৎস্য বিভাগ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সম্মিলিতভাবে নদীতে অভিযান পরিচালনা করবে। নিষেধাজ্ঞা সময়ে দিনে ও রাতে ৪টি করে টীম নদীতে থাকবে। এ ছাড়া নদীর পাড়ে ১৫টি স্পটে অস্থায়ী ক্যাম্প করা হবে। কোনোভাবেই মাছ ধরা চলবে না।
দুইমাসের এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্যে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে টাস্কফোর্সের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান বলেছেন, নদীতে মাছের গায়ে হাত দেয়া যাবে না। যেসব জেলে আইন অমান্য করে মাছ ধরবে তাদের তালিকা তৈরি করে দেয়ার জন্যে মৎস্য বিভাগকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলেদেরকে জাটকাসহ সকল ধরনের মাছ আহরণ থেকে বিরত রাখতে ইতোমধ্যে সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে নদী এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। জেলে পাড়ায় লিফলেট বিতরণ ও আড়ৎগুলোতে ব্যানার সাঁটানো হয়েছে।
চাঁদপুর জেলার সদর, হাইমচর, মতলব দক্ষিণ ও মতলব উত্তর এই ৪টি উপজেলায় তালিকাভুক্ত জেলে আছেন ৫১ হাজার ১৯০ জন। প্রত্যেক জেলে জাটকা রক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্যে চার মাস ৪০ কেজি করে চাল পাবেন। ইতিমধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে এ চাল বিতরণ শুরু হয়ে গেছে।