মেঘনার চরে আটকেপড়ার ১৯ ঘণ্টা পরও লঞ্চটি উদ্ধার হয়নি
হাইমচর-চাঁদপুর-ঢাকা নৌ-রূটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি বোগদাদীয়া-৯ সহ¯্রাধিক যাত্রী নিয়ে মেঘনার চরে আটকাপড়ার ১৯ ঘণ্টা পরও লঞ্চটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। শনিবার রাত ৯টা থেকে গতকাল রোববার বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রায় ১৯ ঘণ্টা ধরে লঞ্চটি চরে আটকা অবস্থায় ছিলো।
লঞ্চের মালিক প্রতিনিধি আলী আজগর সরকার জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় লঞ্চটি হাইমচর নীলকমল চরভৈরবী থেকে ছেড়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে চাঁদপুরের দিকে আসছিলো। পথিমধ্যে লঞ্চটির হেডলাইট নষ্ট হয়ে গেলে রাজরাজেশ^র এলাকায় মেঘনার চরে লঞ্চটি উঠিয়ে দেয় চালক। এ ঘটনার পর যাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে লঞ্চের স্টাফদের ব্যাপক মারধর করে কমপক্ষে ১০/১২ জন স্টাফকে আহত করে। পরে লঞ্চের মাস্টার কলিমুল্লা অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়ে যায়। আলী আজগর বলেন, আমরা ঘটনার পর খবর পেয়ে ইমাম হাসান-৫ নামে আরেকটি লঞ্চ রাত ১১টায় ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার করে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করে দেই।
চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, যাত্রীদের উদ্ধার করা আমাদের কাজ, তা আমরা করেছি। রাতে বোগদাদিয়া কোম্পানীর লঞ্চ ইমাম হাসান-৫ চাঁদপুর থেকে পাঠিয়ে রাজেরাজেশ্বর চরে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে লঞ্চ যাত্রীদের উদ্ধার করে তাদের গন্তব্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। লঞ্চ উদ্ধারের দায়িত্ব মালিক পক্ষের। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গতকাল বিকেল ৪টা পর্যন্ত লঞ্চটি ওই চরে আটকা ছিলো। লঞ্চ স্টাফরা জানান, তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সেখানে কোনো পুলিশ পাঠানো হয়নি।