• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

এমভি আল-ওয়ালিদ-২ লঞ্চের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশ:  ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:১৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর নৌ-বন্দর থেকে এমভি আল-ওয়ালিদ-২ লঞ্চটি অনিয়ম করে নিজের ইচ্ছেমতো চাঁদপুর-ঢাকা রূটে চলাচল করছে। জানা যায়, এমভি আল-ওয়ালিদ-২ লঞ্চটি সময়সূচি অমান্য করে দীর্ঘদিন নির্ধারিত ঘাট ইলিশা থেকে না ছেড়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে। অথচ লঞ্চটির ঢাকা থেকে ছেড়ে চাঁদপুর ঘাট হয়ে ইলিশা লঞ্চঘাট এবং ইলিশা ঘাট থেকে ছেড়ে চাঁদপুর হয়ে ঢাকায় যাওয়া কথা। উক্ত রূটে সময়সূচি থাকা সত্ত্বেও মালিকপক্ষ লঞ্চটি পরিচালনা না করে শুধুমাত্র ঢাকা-চাঁদপুর নৌ-রূটে লঞ্চটি পরিচালনা করছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়ার অজুহাত দেখিয়ে লঞ্চটি চাঁদপুর ঘাটে রাখা হয়েছে বলে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটির পরিবহন পরিদর্শক রেজাউল করিম সুমনকে জানায়। পরে এখান থেকে যাত্রী নিয়ে দুপুর ১২টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তখন অন্যান্য লঞ্চের মালিক পক্ষের প্রতিনিধি ও সুপারভাইজারদের সাথে রেজাউল করিম সুমনের বাকবিত-া হয়। পরবর্তীতে লঞ্চ মালিক পক্ষের একজন রেজাউল করিম সুমনের বিরুদ্ধে চাঁদপুর নদী বন্দরের বন্দর ও কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। সময়সূচি অনিয়ম করে কোনো লঞ্চ পরিচালনা করলে ওই লঞ্চটির বিরুদ্ধে মামলা করার কথা। কিন্তু রেজাউল করিম সুমন তা না করে উল্টো ওই লঞ্চটিকে নিজে উপস্থিত থেকে ছাড়ার সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। যা আইন বহির্র্ভূত। তার কারণে যে কোনো সময় ঘাটে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটতে পারে।
    লঞ্চটির সময়সূচির বিষয়ে গত শনিবার ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা লঞ্চ মালিক সমিতির কার্যালয়ে একটি সভা হয়েছিল। সেখানে চাঁদপুর ঘাট থেকে সরাসরি উক্ত লঞ্চটি চলাচল করতে পারবে না মর্মে সিদ্ধান্ত হয়। যেহেতু লঞ্চটির সময়সূচি ইলিশা থেকে চাঁদপুর হয়ে ঢাকা যাবে, তাই সেখান থেকেই পরিচালনা করতে হবে। চাঁদপুর থেকে লঞ্চ পরিচালনা করতে পারবে না মর্মে সর্বসম্মতিভাবে গৃহিত হয়। উক্ত বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনাও রয়েছে। এমভি আল-ওয়ালিদ লঞ্চটি সংশ্লিষ্ট ঘাট থেকে সময়সূচি মেনে যাতে চলাচল করে সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন এমন প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।