• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

৮৭ উপজেলায় ভোট ১০ মার্চ

প্রকাশ:  ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:১৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

গতকাল রোববার পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। পূর্ণাঙ্গ তফসিল ঘোষণা করা হয় প্রথম ধাপে ৮৭টি উপজেলার নির্বাচনের তফসিল। যে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ১০ মার্চ। গতকাল রোববার বিকেলে কমিশনের সভা শেষে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের নির্বাচনে ৪ বিভাগের ১২টি জেলার ৮৭টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে ১০ মার্চ। এজন্যে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষদিন ১১ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১২ ফেব্রুয়ারি এবং প্রত্যাহারের শেষদিন ১৯ ফেব্রুয়ারি।
এবার ৪৮১টি উপজেলায় মোট পাঁচ ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল ঘোষণা অনুষ্ঠানে সচিব জানান, দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ১৮ মার্চ, তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ এবং চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ। এছাড়া পঞ্চম ধাপের ভোটগ্রহণ করা হতে পারে পবিত্র রমজানের পর ১৮ জুন।
সংসদ নির্বাচনে ফল বিপর্যয়ের পর সংসদের বাইরে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আমরা আশা করবো নির্বাচনে সব দল অংশ নেবে। যেসব দল অংশ নেবে তারা নিজেদের নির্বাচনী মেনিফেস্টো জাতির সামনে তুলে ধরার সুযোগ পাবে। নির্বাচনে যতো বেশি দল অংশ নেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ততো বেশি হবে।’
নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা পদে থেকে নির্বাচন করতে পারবেন কি না, জানতে চাইলে অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বলেন, নির্বাচনী আইন অনুযায়ী স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোনো পদে থেকে কেউ নির্বাচন করতে পারবেন না। সুতরাং বর্তমান চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের পদত্যাগ করে প্রার্থী হতে হবে।
যেসব উপজেলায় নির্বাচন : প্রথম ধাপে যে ৮৭টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে সেগুলো হলো রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় উপজেলার পঞ্চগড় সদর, আটোয়ারী, বোদা, দেবীগঞ্জ ও তেঁতুলিয়া; কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী, ফুলবাড়ী, উলিপুর, নাগেশ্বরী, রাজারহাট, রাজিবপুর, কুড়িগ্রাম সদর, চিলমারী ও রৌমারী; নীলফামারীর ডোমার, ডিমলা, নীলফামারী সদর, জলঢাকা, সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ এবং লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, লালমনিরহাট সদর, কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলা।
ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর জেলার সদর উপজেলা, সরিষাবাড়ী, মেলান্দহ, ইসলামপুর, বকশীগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ ও মাদারগঞ্জ এবং নেত্রকোনার বারহাট্টা, দুর্গাপুর, খালিয়াজুরী, মোহনগঞ্জ, কেন্দুয়া, কলমাকান্দা, মদন, পূর্বধলা ও নেত্রকোনা সদর উপজেলা।
সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, সুনামগঞ্জ সদর, দিরাই, জামালগঞ্জ, শাল্লা, ধর্মপাশা, বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর এবং হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল, মাধবপুর, চুনারুঘাট, লাখাই, হবিগঞ্জ সদর, নবীগঞ্জ, আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলা।
রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা, বেলকুচি, চৌহালী, কাজীপুর, রায়গঞ্জ, শাহজাদপুর, তাড়াশ ও উল্লাপাড়া; জয়পুরহাটের সদর, পাঁচবিবি, আক্কেলপুর, কালাই ও ক্ষেতলাল; নাটোরের সদর, বেতাগিপাড়া, গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম, লালপুর ও সিংড়া; রাজশাহীর তানোর, গোদাগাড়ী, পবা, মোহনপুর, বাগমারা, পুঠিয়া, দুর্গাপুর, চারঘাট ও বাঘা।
এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিলো বিএনপি। তবে একই বছর অনুষ্ঠিত চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলটি অংশ নিয়ে ১১৬টি উপজেলায় জয় পেয়েছিলো। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জিতেছিলো ২৬২টি উপজেলায়।