হাইমচরে পুলিশের গাড়িতে আগুন ॥ ওসিসহ আহত ৩
হাইমচরে ভোটগ্রহণের সময় থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে থাকা পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্সের গাড়িতে আগুন দিয়েছে বিএনপির কর্মীরা। আগুনে পুলিশের গাড়িটি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে। হামলায় গাড়িতে থাকা ওসি (তদন্ত) আলমগীর হোসেনসহ ৩ জন আহত হয়ে হাইমচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকাল রোববার বেলা ১১টায় আলগী উত্তর ইউনিয়নের ছৈয়াল মোড় কমলাপুর রাস্তায় বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে রশিদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (৫নং ওয়ার্ড) ও কমলাপুর ভোট কেন্দ্রে হামলার প্রস্তুতি নেয়। পুলিশ এ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথেই অস্ত্রধারীরা পুলিশের গাড়ির উপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। হামলায় ওসি (তদন্ত) আলমগীর হোসেন (৩৮), গাড়ি চালক শাহাদাত মিজি (২২) ও কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম (৩২) আহত হন। এরপরও পুলিশ অনেকটা সহনশীল ভূমিকায় থেকে তাদেরকে নিবৃত করার চেষ্টা করে। কিন্তু হামলাকারীরা মারমুখী হওয়ায় একপর্যায়ে পুলিশ পিছু হটে। আর তখনই দুর্বৃত্তরা পুলিশের গাড়িতে পেট্রোল দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে ঘটনাস্থলে বিজিবি ও সেনাবাহিনী পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
সংবাদ পেয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী, হাইমচর থানার অফিসার ইনচার্জ, সেনাবাহিনী কমান্ডার, বিজিবি ও আইনশৃঙ্খখলা বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অন্যদিকে দুর্বৃত্তরা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ৩টি বসতঘরসহ ২টি দোকানে আগুন লাগিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। দোকান ও বসতঘরে দেয়া আগুন হাইমচর ও চাঁদপুর পুরাণবাজার ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট এসে নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজন জানান, বিএনপির একদল সন্ত্রাসী বিভিন্ন কেন্দ্রে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিলে পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া করে। তারাও হামলা চালিয়ে পুলিশকে আহত করে এবং পেট্টোল দিয়ে পুলিশের গাড়ি জ¦ালিয়ে দেয়।
হাইমচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর হোসেন জানান, আমাদের কাছে সংবাদ আসে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অশান্তি সৃষ্টিসহ বেশ কিছু কেন্দ্রে হামলার প্রস্তুতি নেয় বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। আমরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমিসহ তিনজন আহত হয় এবং তারা আমাদের গাড়িটিকে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।