• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

কে হাসবেন আজ জয়ের হাসি

পাঁচটি আসনেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল ॥ এর ব্যতিক্রম হলে সেটিই হবে আলোচিত এবং অবাক হওয়ার বিষয়

প্রকাশ:  ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৮:৫০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুরের পাঁচটি আসনে ভোটযুদ্ধে রয়েছেন পঁয়ত্রিশ জন। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বরাবরের মতো আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর মধ্যে। বহুল আলোচিত এ নির্বাচনটি নিয়ে মানুষের মাঝে নানা কৌতূহল রয়েছে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে সর্বশেষ এখন আলোচনা হচ্ছে চাঁদপুরের পাঁচটি আসনে কোন্ পাঁচজন জয়লাভ করছেন? পাঁচটি আসনে নৌকা মার্কা নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরাই কি বিজয়ী হচ্ছেন না কি ফলাফল অন্যদিকে মোড় নেবে? তবে জনগণের মন্তব্য হচ্ছে-পাঁচটি আসনেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এর ব্যতিক্রম হলে সেটিই হবে আলোচিত এবং অবাক হওয়ার বিষয়।
    এদিকে চাঁদপুরের সব আসনেই নৌকা মার্কার প্রার্থীরা জয়লাভ করবেন বলে শতভাগ আশাবাদী প্রার্থীরা। একইভাবে আশাবাদী মহাজোটের চাঁদপুর জেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ এবং সদস্য সচিব ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল। দু’জনই আল্লাহর উপর ভরসা রেখে জানালেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। সারাদেশের সাথে চাঁদপুর জেলায়ও এ দশ বছরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এ উন্নয়নের জন্যেই জনগণ শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থীদের ভোট দেবেন। তাই আমরা শতভাগ আশাবাদী চাঁদপুরের পাঁচটি আসনেই আমাদের প্রার্থীরা জয়লাভ করবেন। এর মধ্য দিয়েই আওয়ামী লীগ পুনরায় সরকার গঠন করবে ইনশাআল্লাহ। তাছাড়া বিএনপি-জামাতের অপকর্ম, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও জ¦ালাও-পোড়াও-এর কারণে চাঁদপুরসহ সারাদেশের মানুষ যে তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে, তা আজ ভোটের মাধ্যমে জনগণ প্রমাণ করবে।
    অপরদিকে বিএনপি বলেছে ভিন্নকথা। তাদের প্রার্থীসহ নেতৃবৃন্দের দাবি হচ্ছে- শত প্রতিকূলতার মাঝেও জনগণ যদি ভোট দিতে পারে তাহলে চাঁদপুরের পাঁচটি আসনেই ধানের শীষ প্রার্থীরা জয়লাভ করবে। আর ভোট যদি না দিতে পারে তাহলে সে হচ্ছে ভিন্নকথা। সবকিছুই দেশবাসী দেখবে। জনগণই সবকিছুর মূল্যায়ন করবে।
    প্রতীকসহ আসনভিত্তিক প্রার্থীদের নাম : সংসদীয় আসন নং ২৬০ চাঁদপুর-১ (কচুয়া) ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর (আওয়ামী লীগÑনৌকা), মোশারফ হোসেন (ধানের শীষÑবিএনপি), অধ্যাপক ডাঃ একেএসএম শহীদুল ইসলাম স্বতন্ত্র (মোটরগাড়ি কার), এমদাদুল হক রুমন (জাতীয় পার্টিÑলাঙ্গল), নূরুল আলম মজুমদার (ইসলামী ফ্রন্টÑমোমবাতি), জোবায়ের আহমেদ (ইসলামী আন্দোলনÑহাতপাখা) ও আজাদ হোসেন (গণফোরামÑউদীয়মান সূর্য)।
    সংসদীয় আসন নং ২৬১ চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডঃ নূরুল আমিন রুহুল (নৌকা), বিএনপির ড. জালাল উদ্দিন (ধানের শীষ), এমরান হোসেন, জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল), ইসলামী      আন্দোলন বাংলাদেশের আশরাফ উদ্দিন (হাতপাখা), ইসলামী ঐক্যজোট মোঃ মনির হোসেন চৌধুরী (মিনার) ও  নূরুল আমিন লিটন, মুসলীম লীগ (হারিকেন)।
    সংসদীয় আসন নং ২৬২ চাঁদপুর-৩ (চাঁদপুর সদর ও হাইমচর) ডাঃ দীপু মনি, আওয়ামী লীগ (নৌকা), শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, বিএনপি (ধানের শীষ), মোঃ জয়নাল আবেদীন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (হাতপাখা), দেওয়ান কামরুন্নেসা, জাকের পার্টি (গোলাপ ফুল), শাহজাহান তালুকদার, বাসদ (মই), মোঃ আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি (কোদাল) ও  মোঃ মিজানুর রহমান তরিকত ফেডারেশন (ফুলের মালা)।
    সংসদীয় আসন নং ২৬৩ চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) মুহম্মদ শফিকুর রহমান, আওয়ামী লীগ (নৌকা), লায়ন হারুনুর রশিদ বিএনপি (ধানের শীষ), ইসলামী ফ্রন্টের গোলাম মাহমুদ ভূঁইয়া মানিক (মোমবাতি), মাইনুল ইসলাম, জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল), মকবুল হোসেন, ইসলামী    আন্দোলন বাংলাদেশ (হাতপাখা), আনিসুজ্জামান ভূঁইয়া, বাসদ (মই), ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির দেলোয়ার  হোসেন পাটওয়ারী (আম), জাকের পার্টির বাচ্চু মিয়া ভাসানী (গোলাপ ফুল) ও মুসলীম লীগ প্রার্থী মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া (হারিকেন)।
    সংসদীয় আসন নং ২৬৪ চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আওয়ামী লীগের মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম (নৌকা), বিএনপির ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মমিনুল হক (ধানের শীষ), ইসলামী ফ্রন্টের আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান আল-কাদেরী (মোমবাতি), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী (চেয়ার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শাহাদাত হোসেন (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির ওয়াহেদ মোল্লা (গোলাপ ফুল)।
    এসব প্রার্থীর মধ্যে প্রতিটি আসনেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা বনাম ধানের শীষ প্রার্থীর মাঝে। তাই পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর মধ্যে কে কে আজ জয়ের মালা পরবেন, কে কে বিজয়ের হাসি হাসবেন তা নিয়ে আজ দিনভর নানা আলোচনা হলেও দিনশেষে রাতেই তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। আর সে সময়টির অপেক্ষায়ই আছে চাঁদপুর জেলাবাসী।