ইশতেহারে নিরাপদ সড়ককে গুরুত্ব দেওয়ায় ইলিয়াস কাঞ্চনের কৃতজ্ঞতা
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ঘোষিত ইশতেহারে দেশের সব বড় রাজনৈতিক দলই নিরাপদ সড়কের বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে। দলগুলো জনগণের কাছে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, ক্ষমতায় গেলে তারা দেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে নিরাপদ করতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
দেশের বর্তমান বাস্তবতায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করায় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
মঙ্গলবার সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক এ কে এম ওবায়দুর রহমানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, অতীতে জাতীয় নির্বাচনের ইশতেহারে নিরাপদ সড়কের বিষয়টি তেমন গুরুত্ব পায়নি। কিন্তু এবার নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের ইশতেহারে নিরাপদ সড়কের বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে এবং সড়ককে নিরাপদ করতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় করণীয়ও নির্ধারণ করেছে, যা নিঃসন্দেহে প্রশংনীয়।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামীতে যে দলই নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করবে তারা নিরাপদ সড়কের বিষয়ে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করবে। এ ব্যাপারে বিরোধী দলও সরকারকে গঠনমূলক সহায়তা দেবে। আগামীতে সরকার, বিরোধী দলসহ সকলের সহযোগিতায় দেশে নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়ন হবে এমনটাই প্রত্যাশা দেশবাসীর।
ইশতেহারে নিরাপদ সড়কের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি নিম্নরুপ:
আওয়ামী লীগ :
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে ‘নিরাপদ সড়ক আইন-২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আইনটি প্রয়োগের মাধ্যমে দুর্ঘটনা ন্যূনতম পর্যায়ে নামিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আগামীতে সময়ের চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে নতুন ধারা পরিবর্তন-পরিবর্ধনের মাধ্যমে এটাকে আরো যুগোপযোগী ও কার্যকর করা হবে। এছাড়া, নিরাপদ সড়কের জন্য লাইসেন্সবিহীন চালকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, ট্রাফিক ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, ফিটনেসবিহীন গাড়িকে পারমিট না দেওয়া, চালকদের লাইসেন্স প্রদানে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ, সড়ক ও মহাসড়কগুলোকে ক্রমে সিসিটিভির আওতায় আনা এবং জনসাধারণকে সচেতন করার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ক্ষমতাসীন এ দলটির ইশতেহারে।
বিএনপি :
বিএনপির ইশতেহারে বলা হয়েছে, সড়ক পথে চলাচলে বিরাজমান বিশৃঙ্খলার অবসান ঘটানো হবে এবং সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাতীয় পার্টি :
জাতীয় পার্টির ইশতেহারে বলা হয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে সব রাস্তাঘাট সংস্কার করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোকে কমপক্ষে ৫০ ভাগ প্রশস্ত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সেই সঙ্গে সড়ক বিভাজক (ডিভাইডার) নির্মাণ করা হবে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট :
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তাদের ইশতেহারে নিরাপদ সড়ক, যাতায়াত এবং পরিবহনের কথা উল্লেখ করেছে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিশু-কিশোররা যে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন গড়ে তুলেছিল তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করে তাদের দাবিকৃত ৯ দফা দাবির আলোকে সড়ক আইন সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা ন্যূনতম পর্যায়ে নামিয়ে আনার জন্য সব রকম ব্যবস্থা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নেওয়া হবে বলে ইশতেহারে বলা হয়েছে।
সূত্র : রাইজিংবিডি