• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুরে পদ্মা ও মেঘনায় ইলিশের আকাল

প্রকাশ:  ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:২৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ভরা মৌসুমেও ইলিশের দেখা মিলছে না চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনায়। এ এলাকার নদীতে ইলিশ না পেয়ে খালি হাতেই ফিরছে জেলেরা। চাঁদপুর নৌ-সীমানায় কোনো বড় সাইজের ইলিশ ধরা পড়ছে না বলে জানিয়েছে তারা।
    জেলেরা জানায়, এখন চলছে ইলিশের ভরা মৌসুম। অন্যান্য বছরে এ সময়ে পদ্মায় অনেক ইলিশ পাওয়া গেলেও এবার তা নেই। চাঁদপুরের নদ-নদীতে সারাদিনেও তেমন ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। সাগরে আহরিত ইলিশে ভরপুর এখন চাঁদপুর মাছঘাট। গত কদিন হাজার হাজার মণ ইলিশ বিভিন্ন আড়তে এসেছে তার সবগুলোই সাগরের।
    সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, মাছের সাইজ, তাজা নাকি বরফ দেয়া এ হিসেবে মাছের দাম উঠানামা করছে। ঘাটে মাছের দাম কম হবে এ আশায় অনেকে মাছ কিনতে এসে দাম শুনে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছে। এখনও  মধ্যম আকারের ইলিশের কেজি ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা। তবে আকারে ছোট সাইজের কেজি সাড়ে ৩শ’ থেকে সাড়ে ৪শ’ টাকা। এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশের কেজি এক হাজার ২শ’ থেকে এক হাজার ৫শ’ টাকা।
    ছোট রব চোকদারের আড়তের কাছে মাছ বিক্রেতা খন্দকার মুকবুল হোসেন বলেন, ভর সিজন (ভরা মৌসুম) হওয়া সত্ত্বেও ইলিশের দাম তুলনামূলক কমেনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর ঘাটে প্রচুর ইলিশ দেখা যায়। হাজী আঃ মালেক খন্দকার, মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া, হাজী শবে বরাত, ইকবাল বেপারী, কুদ্দুছ খাঁ ও উত্তমদের আড়তে হাতিয়া এবং দৌলত খাঁ এলাকার প্রচুর ইলিশ ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। নান্টু, কাদির, দেলু খাঁ, আনোয়ার গাজী, খালেক, ছানা, বাবুল হাজী, মালেক খন্দকারসহ আরও অনেক চালানি সেই মাছ আড়ত থেকে কিনে প্যাকেট করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
    দৌলত খাঁর মাছের বেপারী ইউসুফ ও হাতিয়ার মফিজ মাঝি জানান, ১৩ থেকে ১৪ মণ মাছ খন্দকারের আড়তে দিয়েছেন এবং ২৩ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করেছেন তিনি। এসব ইলিশ সাগরের। ভোলার নদীতে এখন তুলনামূলক ইলিশ মাছ নাই।
    ভরপুর ইলিশ আমদানিতে কেনো মাছের দাম কমছে না-এমন প্রশ্নের জবাবে চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী শবে বরাত সরকার জানান, শুক্রবার চাঁদপুর ঘাটে এক থেকে দেড় হাজার মণ ইলিশ ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। মাছের দামও কমেছে। বুধবার ১৬ হাজার থেকে ১৮ হাজার টাকা মণ দরে অর্থাৎ ৫শ’ থেকে  সোয়া ৫শ’ টাকা কেজিতে ইলিশ বিক্রি হয়েছে। আগের চেয়ে ইলিশের দাম কমেছে বলে দাবি করেন তিনি।
    সমিতির পরিচালক খালেক বেপারী জানান, লোকাল নদীর মাছ না পাওয়ায় চাঁদপুর ঘাট গোয়ালন্দ হয়ে গেছে। এখানের সব মাছ সাগরের। আমরা ব্যবসায়ীরা সুবিধায় নেই।

সর্বাধিক পঠিত