বর্তমান সরকারের মেয়াদে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ছে না
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়াতে আলোচনা শুরু হলেও বর্তমান সরকারের মেয়াদে তা বাড়ছে না।
তিনি আজ ২৯ আগস্ট (বুধবার) সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা জানান।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ালে তাতে নিজের আপত্তি নেই জানিয়ে মুহিত বলেন, (অবসরের) বয়স বাড়ানোর পরিকল্পনা আমার ছিল, আমি প্রস্তাবও দিয়েছিলাম, হয়নি।
তিনি আরো বলেন, আমার মনে হয় নির্বাচনের আগে (অবসরের বয়স নিয়ে) কোনো পরিবর্তন হবে না। আগামী ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছর। আর অবসরের বয়স ৫৯ বছর নির্ধারিত আছে।
আগে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ২৭ বছর থাকলেও ১৯৯১ সালের মাঝামাঝিতে তা বাড়িয়ে ৩০ বছর করা হয়।
আর ২০১১ সালের ডিসেম্বরে সরকারি চাকরিতে অবসরের বয়স দুই বছর বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়স এক বছর বাড়িয়ে ৬০ বছর করে সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর এবং অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৫ বছর করার সুপারিশ করে।
চাকরিতে ঢোকার সময়সীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা বহুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। এ লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়াতে আলোচনা শুরু করেছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছিলেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছিলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ বছর করার প্রস্তাব তৈরি করছেন তারা। বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বয়স বাড়ানোর ঘোষণা আসবে।
চুক্তিতে যে কোনো বয়সে সরকারি চাকরি দেওয়া উচিৎ বলে মনে করেন সাবেক আমলা মুহিত। তিনি বলেন, আমার মতে চাকরি হওয়া উচিত কনট্রাক্ট বেসিসে। এভরিওয়ান সুড বি গিভেন এ জব ফর টেন ইয়ার্স, ফিনটিন ইয়ার্স… এনি বয়সে।