• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই’

প্রকাশ:  ১৪ জুলাই ২০১৮, ১৬:৪৮ | আপডেট : ১৪ জুলাই ২০১৮, ১৬:৫১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্জ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।

তিনি আজ শনিবার দুপুরে রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি। কিছু মহল রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে সমলোচনা করছে। আমি তাদের উদ্যেশ্যে বলতে চাই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে কোন উদ্বেগের কারণ নেই। আমরা সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

আমাদের দেশের কিছু তরুণকে রাশিয়া ও ভারতের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে শুধু রূপপুর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিরপত্তার সঙ্গে পরিচালনা করতে পারে।

তিনি বলেন, আমাদের মুক্তিযোদ্ধোর যেসকল দেশ সহযোগিতা করেছিলো তাদের মধ্যে রাশিয়া ভারতের অবদান অবিস্মরণীয়। তাদেরকে আমরা সবসময় পাশে পাই। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে কাজ করছে। বিশ্বদরবারে আমরা মাথা উচু করে দাড়াচ্ছি।

গত বছরের ৩০ নভেম্বর শেখ হাসিনা রূপপুরে পরমাণু চুল্লির জন্য কংক্রিটের মূল স্থাপনা নির্মাণ উদ্বোধন করেছিলেন, যার মধ্য দিয়ে শুরু হয় দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল নির্মাণ পর্বের কাজ।

ওই সময় থেকে ৬৮ মাসের মধ্যে মূল স্থাপনা নির্মাণের কথা রয়েছে এ কাজের দায়িত্ব পাওয়া রাশিয়ার কোম্পানি অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের।

বাংলাদেশ সরকার আশা করছে, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি রূপপুরের ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ যোগ হবে জাতীয় গ্রিডে। পরের বছর চালু হবে সমান ক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিট।

রূপপুরের প্রকল্প এলাকায় এক হাজার ৬২ একর জমির ওপর চলছে বিপুল কর্মযজ্ঞ। প্রথম পর্যায়ের বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ এরইমধ্যে শেষ হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মিত হচ্ছে রুশ সহায়তায়। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর রোসাটমের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশের পরমাণু শক্তি কমিশন।

দুই ইউনিট মিলিয়ে এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার (১ লাখ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা)। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড ব্যয়ের এই প্রকল্পে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্বলিত সর্বাধুনিক তৃতীয় প্রজন্মের প্রযুক্তি দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ব্যবহৃত তেজষ্ক্রিয় জ্বালানি সরিয়ে নিতেও রাশিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
 

সর্বাধিক পঠিত