• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

জিসিসি নির্বাচনের ফলাফল: এগিয়ে আ.লীগ

প্রকাশ:  ২৬ জুন ২০১৮, ১৮:৫৬ | আপডেট : ২৬ জুন ২০১৮, ১৯:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া উৎসবমুখর পরিবেশে গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সকাল আটটায় শুরু হয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত একটানা এ ভোটগ্রহণ চলে।  এখন শুরু হয়েছে ভোট গণনার কাজ।

এদিকে ৪২৫ টি কেন্দ্রের মধ্যে ঘোষিত এখন পর্যন্ত ৩০ টি কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা) ২০২৯৮ ভোট পেয়েছেন। আর বিএনপি প্রার্থী মো. হাসান উদ্দিন সরকার পেয়েছেন ১৫১৮৬ ভোট। 

বিএনপি অভিযোগ করেছে, দুই শতাধিক কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে একে বিএনপির ‘চিরাচরিত অভ্যাস’ বলে মন্তব্য করেছে আওয়ামী লীগ।
পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন থেকে দুপুরে জানানো হয়েছে, সব শেষ অনিয়মের অভিযোগে সাতটি ভোটকেন্দ্র স্থগিত করা হয়েছে। আর একটি কেন্দ্রে আধা ঘণ্টার জন্য ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছিল।

এদিকে, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, গাজীপুরে যে খবর পেয়েছি তা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার। আমরা চমৎকার নির্বাচন চাইনি। সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন বারবার সরকারের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে নির্বাচন আয়োজন করছে। যা সম্পূর্ণ জালিয়াতি ও ভোট ডাকাতির। এখন পর্যন্ত প্রায় শতাধিক কেন্দ্রে দখল, জাল ভোট, এজেন্ট গ্রেপ্তার ও বের করে দেয়া হচ্ছে।

তবে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির নেতাকর্মীদের শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা। নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নানক বলেন, গাজীপুর সিটিতে আজকের নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে দুই কারণে বিএনপি কোনো এজেন্ট দেয়নি। প্রথমত, প্রার্থীর দুর্বলতা। দ্বিতীয়ত, দলীয় কোন্দল। তারা দলীয় দৈন্যতায় ভুগছে। তাই নানা অভিযোগ করে উধোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে তারা।  মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে এ নির্বাচন শুরু হয়ে চলে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্র জানায়, নির্বাচনে ২৯ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করছে। নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, এবিবিএন, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১১ হাজার সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

নগরীর ৫৭টি ওয়ার্ডে পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে ৫৭টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, সংরক্ষিত আসনে ২০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স রয়েছে। এছাড়া ৫৭টি ওয়ার্ডে ৫৭টি এবং অতিরিক্ত একটিসহ মোট ৫৮টি টিম মোতায়েন রয়েছে।

প্রতি দুইটি ওয়ার্ডে এক প্লাটুন করে মোট ২৯ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করছে। এদের মধ্যে ৭ প্লাটুন কোনাবাড়ি ও কাশিমপুর এলাকায়, ১০ প্লাটুন টঙ্গী এলাকায় এবং ১২ প্লাটুন জয়দেবপুর, বাসন চান্দনা চৌরাস্তা ও কাউলতিয়া এলাকায় দায়িত্ব পালন করছে।

এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ান আনসার সমন্বয়ে ৫৭টি ওয়ার্ডে ৫৮টি মোবাইল ফোর্স, ২০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত রয়েছে।


নির্বাচনের আগে ও পরে চার দিন ৫৭টি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন। আরো ১০ জন অতিরিক্ত হিসেবে সর্বমোট ৬৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন রয়েছেন।

এই নির্বাচনে ৪২৫টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন। মোট সাত মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি ২৫৪ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৮৪ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

 

সূত্র : এবিনিউজ