• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

৬ মেগা প্রকল্প বাস্তাবায়নে ১৮০ কোটি ডলার দেবে জাপান

প্রকাশ:  ১৫ জুন ২০১৮, ১২:৫২ | আপডেট : ১৫ জুন ২০১৮, ১২:৫৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট
যমুনা রেল সেতু, মেট্রোরেল, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বাংলাদেশের ছয়টি মেগা প্রকল্প বাস্তাবায়নে ১৮০ কোটি ডলার বা ১ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দেবে জাপান। জাপানের ৩৯তম সরকারি উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ) ঋণ প্যাকেজের আওতায় এই অর্থ দেয়া হবে। জাপানি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২০০ দশমিক ৩৭১ বিলিয়ন ইয়েন। 
 
এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ ইআরডি সম্মেলন কক্ষে জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইয়াসু ইজুমি এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সর্ম্পক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজি সফিকুল আজম বিনিময় নোট সই করেন। এছাড়া ঋণ চুক্তিতে সই করেন ইআরডি সচিব ও জাইকার বাংলাদেশ অফিসের প্রতিনিধি তাকাতোসি নিশিকাটা। 
 
এ সময় জানানো হয়, একক প্যাকেজে এটাই সবচেয়ে বড় ঋণচুক্তি করা হলো।  চুক্তি অনুযায়ী ১০ বছর রেয়াতকালসহ ৩০ বছরে এই ঋণ শোধ করতে হবে। ঋণের সুদ হার মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য এক ভাগ। চুক্তি হওয়া প্রকল্পগুলো হলো- 
 
মাতারবাড়ি বন্দর: মাতারবাড়ি বন্দর স্থাপনে ২ দশমকি ৬৫৫ বিলিয়ন ইয়েন ঋণ নেয়া হচ্ছে। প্রকল্পের বিষয়ে জানানো হয়েছে, গত দশ বছরে গড়ে ১২ শতাংশ হারে বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়ছে। এজন্য কন্টেইনার কার্গো পরিমাণ ২০১৪ সালের ১৬ লাখ থেকে ২০৪০ সাল নাগাদ সাড়ে ৯৮ লাখে উন্নীত হবে। কিন্তু সেভাবে বন্দর সুবিধা গড়ে উঠেনি। এখন যে বন্দর সুবিধা রয়েছে সেটিও চাহিদার তুলনায় কম। এজন্য মাতারবাড়িতে প্রকল্পটি ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ করা করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। 
 
যমুনা রেল সেতু : যমুনা নদীর উপর রেল সেতু নির্মাণে ঋণ পাওয়া যাবে ৩৭ দশমিক ২১৭ বিলিয়ন ডলার ইয়েন। ২০২৩ সালের মধ্যে যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরালে এই রেল সেতু নির্মাণ করার লক্ষ্য রয়েছে। 
 
ঢাকা এমআরটি: ঢাকা এমআরটি-৫ প্রকল্পের আওতায় রাজধানীকে পূর্ব-পশ্চিম করিডোরে সংযোগ স্থাপন করতে সাভারের হেমায়েতপুর হতে ভূলতা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার মেট্রো নির্মাণ করা হবে। ২০২৮ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে। এতে ঋণ পাওয়া যাবে ৭ দশমিক ৩৫৮ বিলিয়ন ইয়েন। 
 
এমআরটি: এমআরটি-৬ এর আওতায় উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটারের মেট্রোরেল স্থাপন করা হবে। এটি বাস্তবায়ন হলে প্রতিদিন ৫ লাখ মানুষ এতে যাতায়াত করতে পারবে। ৭৯ দশমিক ২৭১ বিলিয়ন ইয়েন ঋণের এই প্রকল্পটি ২০২২ সালের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে। 
 
মাতারবাড়ি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র: এই প্রকল্পে ঋণ নেয়া হচ্ছে ৬৭ দশমিক ৩১১ বিলিয়ন ইয়েন। মাতারবাড়িতে আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পটি সরকার অগ্রাধিকার বিবেচনায় রয়েছে। প্রকল্পটি ২০২৪ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে।   
 
স্বাস্থ্য সুরক্ষা সেবা: স্বাস্থ্য খাতের প্রকল্প বাস্তবায়নে ৬ দশমিক ৫৫৯ বিলিয়ন ইয়েন ঋণ নেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। বাংলাদেশে ৫৯ ভাগ মৃত্যুর কারণ এই অসংক্রামক ব্যাধি। এ প্রকল্পের মাধ্যমে রাজধানীর দরিদ্র্য মানুষদের কল্যাণে প্রকল্প নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে

সর্বাধিক পঠিত