শেষ মুহূর্তে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ঘরমুখো মানুষের ঢল
ঈদে ঘরের টানে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় প্রত্যেক বছরের নিয়মিত চিত্র। তা যদি হয় প্রিয় মানুষদের সঙ্গে, তাহলে তো কথাই নেই। তাই প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে রাজধানী থেকে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। ঘরমুখো মানুষের চাপে নৌঘাটগুলোতে তাই শেষ মুহুর্তের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার প্রবেশ দ্বার দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া নৌঘাটে ঈদে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে এ রুটে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। পাটুরিয়া ঘাটে মানুষের ভিড়ের পাশাপাশা যানজট লক্ষ্য করা যায়। তবে দৌলতদিয়া ঘাটে ভিড় থাকলেও যানজট খুব একটা চোখে পড়েনি।
ঘরমুখো যাত্রী আবুল কাশেম বলেন, পাটুরিয়া ঘাটে যানজট রয়েছে। তবে দৌলতদিয়া ঘাটে কোনও ভোগান্তি নেই। দেখে মনে হচ্ছে, ঈদ উপলক্ষে দৌলতদিয়া ঘাটে এবার সর্বকালের সেরা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার বাণিজ্য বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে স্বাভাবিক সময়ে দিনে ১৪টি থেকে ১৫টি ফেরি চলাচল করে। ঈদ উপলক্ষে যাহবাহনের বাড়তি চাপ সামলাতে এই নৌরুটে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। এর মধ্যে রো রো (বড়) ফেরি নয়টি, কে-টাইপ (মাঝারি) চারটি ও ইউটিলিটি ফেরি রয়েছে ছয়টি। নদীতে বর্তমানে নাব্যতার সংকট নেই। ফলে ফেরিগুলো পূর্ণ লোড নিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছে। যাত্রাপথে কোনও ফেরি বিকল হলে তাৎক্ষণিকভাবে তা মেরামতের জন্য পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা ‘মধুমতি’ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যানবাহনের বাড়তি চাপ সামাল দিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে বুধবার (১৩ জুন) থেকে পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া অন্য সব ধরনের ট্রাক ও লরি পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে। ঈদের তিন দিন পর পর্যন্ত এসব যান পারাপার বন্ধ রাখা হবে। দৌলতদিয়ায় পাঁচটি ফেরিঘাট সচল রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও ফেরির যান্ত্রিক ক্রটি দেখা না দিলে, এ রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রা উপভোগ করতে পারবেন।
রাজবাড়ী পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি জানান, ঈদকে ঘিরে চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, মলম পার্টি ও পকেটমারসহ সব ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড নির্মূল করতে দৌলতদিয়া ঘাটে পাঁচটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে