প্রেস কর্মচারী বাহাদুরের মাধ্যমেই ঢাবির প্রশ্নফাঁসের সূত্রপাত
রাজধানীর ইন্দিরা রোডের একটি প্রেসের কর্মচারী খান বাহাদুরের মাধ্যমেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হতো বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম।
তিনি জানান, বুধবার জামালপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় সাইফুল ইসলাম নামে একজনকে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার ফার্মগেটের ইন্দিরা রোড থেকে গ্রেফতার করা হয় খান বাহাদুরকে। তিনি প্রেসের কর্মচারী। তার মাধ্যমে মূলত প্রশ্নফাঁসের সূত্রপাত।
সিআইডির তথ্যমতে, একটি চক্রের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে আসছিল। এই চক্রকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যার মধ্যে গত ৭ ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন কারাগারে, তিনজন রিমান্ডে এবং দুজন গ্রেফতার আছেন।
মোল্যা নজরুল জানান, গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ঘ' ইউনিটের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। আর চলতি বছর এই পরীক্ষা নিয়ে ডিজিটাল জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২ থেকে ৭ লাখ টাকা আদায় করত চক্রটি।
সুত্রঃ যুগান্তর