• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ব্লু হোয়েল গেম এর বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে ভয়ংকর তথ্য দিল এই মেয়ে

প্রকাশ:  ১১ অক্টোবর ২০১৭, ১৩:৪৭
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক
প্রিন্ট

সম্প্রতি ঢাকার সেন্ট্রাল রোডের স্কুল পড়ুয়া মেধাবী এক কিশোরীর আত্মহত্যার পর সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে ইন্টারনেটভিত্তিক প্রাণঘাতী গেম ‘ব্লু হোয়েল’। ইতিমধ্যে প্রাণঘাতী এই গেমে দুই জনের আসত্তির খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া মরণ নেশায় আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে আরো কয়েকজন তরুণ-তরুণী আত্মহত্যা করেছে বলে অসমর্থিত বিভিন্ন খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।

 এরপর এই গেমের প্রভাব নিয়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছেন। অনেকেই বন্ধুদের কাছে মেসেজ পাঠাচ্ছেন- সাবধান, বাংলাদেশেও পৌঁছে গেছে ব্লু হোয়েল গেম! অনেকে কৌতূহল থেকে জানতে চাইছেন পুরো ব্যাপারটা। কেউ কেউ আতঙ্কও ছড়াচ্ছেন।

 ব্লু হোয়েল মোটেও ইন্টারনেট ভিত্তিক অন্যান্য সফটওয়্যার, অ্যাপ্লিকেশন কিংবা নিছক গেম নয়। এটি সোশ্যাল মিডিয়া ভিত্তিক একটি ডিপওয়ে গেম। বলা হচ্ছে, যেসব কম বয়সী ছেলে-মেয়ে অবসাদে ভোগে, তারাই অসাবধানতাবশত এই গেমে আসক্ত হয়ে পড়ে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি কোনো ক্লান্তি বা বিষণ্নতা দূর করার গেম নয়। আত্মহত্যার প্রবেশ পথ মাত্র।

 ব্লু হোয়েল গেমে ৫০টি লেভেল রয়েছে। এক বা একাধিক কিউরেটর দ্বারা পরিচালিত এই গেমের শেষ লেভেলের টাস্কগুলো খুবই ভয়ংকর। তবে প্রথম দিকের লেভেল ও তার টাস্কগুলো বেশ মজার হওয়ায় এই গেমের প্রতি সহজেই আকৃষ্ট হয়ে পড়েন কিশোর-কিশোরীরা। নিয়ম অনুযায়ী একবার এই গেম খেললে বের হওয়া যায় না। কেউ বের হতে চাইলেও তাদের চাপে রাখতে পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয় বলে প্রচলিত আছে।

এই গেমের বিভিন্ন ধাপে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। যেমন ব্লেড দিয়ে হাতে তিমির ছবি আঁকা, সারা গায়ে আঁচড় কেটে রক্তাক্ত করা, কখনো ভোরে একাকি ছাদের কার্নিশে ঘুরে বেড়ানো, রেল লাইনে সময় কাটানো, ভয়ের সিনেমা দেখা ইত্যাদি। চ্যালেঞ্জ নেয়ার পর এসব ছবি কিউরেটরকে পাঠাতে হয়। ২৭তম দিনে হাত কেটে ব্লু হোয়েলের ছবি আঁকতে হয়।

 একবার এই গেম খেললে কিউরেটরের সব নির্দেশই মানা বাধ্যতামূলক। তার শেষের দিকের লেভেলে আত্মনির্যাতনমূলক বিভিন্ন টাস্ক সামনে এলেও কিশোর-কিশোরীরা এতটাই নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন যে, গেম ছেড়ে বের হতে পারে না। তবে গেমের শেষ ধাপ অর্থাৎ ৫০তম ধাপে ইউজারদের এমন কিছু টাস্ক দেওয়া হয়, যা সম্পূর্ণ করা মানেই আত্মহত্যা। আর এর মাধ্যমেই ঘটে গেমের সমাপ্তি।

 এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসরুফ হোসেন বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে সতর্ক অবশ্যই থাকা উচিত। এ গেম সম্পর্কে শুনেছি, এটি এক পর্যায়ে ব্যক্তিগত তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে ব্লাকমেইলের মাধ্যমে ভিকটিমকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে। এমন কেউ থেকে থাকেন যে এরকম ব্ল্যাকমেইলের ভয় পাচ্ছেন, আমাকে মেইল করুন। আমি আমার সাধ্যমত পুলিশি পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করতে চেষ্টা করব। তিনি আরেো বলেন, সামান্য একটা গেম আমাদের ছেলেমেয়েদের প্রাণ কেড়ে নেবে, এটা কোন কাজের কথা না।