‘বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস’ আজ
আজ মঙ্গলবার বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। সারা বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে প্রতিবছর ১০ অক্টোবর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই দিবস পালন করা হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। ১৯৯২ সালে প্রথমবার মতো পালন করা হয় দিবসটি। কিছু দেশে দিবসটিকে মানসিক রোগ সচেতনতা সপ্তাহের অংশ হিসাবেও পালন করা হয়।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য: ‘কর্মস্থলে মানসিক স্বাস্থ্য’। বিশ্বব্যাপী মানসিক রোগে আক্রান্ত মানুষেরা একবিংশ শতাব্দীতেও পারিবারগত, পেশাগত তথা সামাজিকভাবে অবহেলিত ও নিগৃহীত। মানসিক রোগীদের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করে সার্বিক উন্নয়ন সহায়ক শক্তি হিসেবে দাঁড় করানোর লক্ষ্যে প্রতি বছরের মতো এবারও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে।
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ কুসংস্কার দূর করে তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অধিকতর দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। দিবসটি পালনের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে বলেও আশাবাদ প্রকাশ করেছেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘স্বাস্থ্য একটি সমন্বিত বিষয় এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য অপরিহার্য। আর্থ-সামাজিক নানা কারণে বিশ্বব্যাপী বিষণ্নতা ও উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা মানসিক স্বাস্থ্য অবনতির অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বে ৩০ কোটির বেশি মানুষ বিষণ্নতায় ভুগছে, যার প্রভাব পড়ছে স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা ও উৎপাদনশীলতার ওপর।
পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার মানসিক স্বাস্থ্যসেবাসহ সব ধরণের স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এবং মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির অধিকার ও সুযোগের সমতা বিধানে বদ্ধপরিকর। তিনি আরও বলেন, ‘মানসিক রোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ অসংক্রামক ব্যাধি। দেশে মানসিক রোগের কারণে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, পেশাগত ও সামাজিক জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানসিক সমস্যার কারণে কর্মদক্ষতা হ্রাস পায় এবং সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা ব্যাহত হয়।’ এ দৃষ্টিকোণ থেকে এবারের বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
দিবসটি উপলক্ষে দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। এর মধ্যে রয়েছে র্যালি, সেমিনার, আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজন। দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও রয়েছে দিনব্যাপী বিভিন্ন আয়োজন।